আধুনিক মনষ্ক হতে গিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত আলোচনা হোক কিংবা দ্বন্দ্ব, সবই বাচ্চার সামনে করে থাকেন। তার সামনে একে অন্যকে দোষারোপ (Blame) করেন। এই স্বভাবের বদল করুন। জানেন কি, এর থেকে কতটা ক্ষতি হচ্ছে বাচ্চার। জেনে নিন আপনাদের কলহ বাচ্চার কী ক্ষতি করছে।
লকডাউনের জন্য বাচ্চা সারাদিনই বাড়িতে থাকে। ঘরে বসেই পড়াশোনা, ঘরে বসেই খেলাধুলো- সবই হচ্ছে। সে সারাদিন ঘরে থাকে বলে, তার থেকে আড়াল করার কিছু নেই। তাই বাচ্চার সামনেই চলছে সব রকম আলোচনা (Discursion), চলছে দাম্পত্য কলহ (Quarrel)। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হওয়া স্বাভাবিক। মতের মিল না হলে অশান্তি হবেই। কিন্তু, তাই বলে সকলের সামনে ঝগড়া করবেন তা নয়। বিশেষ করে বাচ্চার সামনে। অনেক মা-বাবারাই আজকাল এই কথা ভুলে গিয়েছেন। আধুনিক মনষ্ক হতে গিয়ে নিজেদের ব্যক্তিগত আলোচনা হোক কিংবা দ্বন্দ্ব, সবই বাচ্চার সামনে করে থাকেন। তার সামনে একে অন্যকে দোষারোপ (Blame) করেন। এই স্বভাবের বদল করুন। জানেন কি, এর থেকে কতটা ক্ষতি হচ্ছে বাচ্চার। জেনে নিন আপনাদের কলহ বাচ্চার কী ক্ষতি করছে।
ভয়, একাকীত্ম কিংবা সোশ্যাল অ্যাংজাইটির (Anxiety) সমস্যায় ভোগেন অনেক বাচ্চার। সারাক্ষণ বাড়িতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ দেখলে এমন সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। মা-বাবাকে ঝগড়া করতে দেখলে অনেক বাচ্চাই ভয়ে লুকিয়ে পড়ে। আবার অশান্তি থেকে দূর থাকতে একাকীত্ম পছন্দ করে। এই সকল সমস্যা এক সময় বড় আকার নিতে পারে, যার জন্য দেখা দিতে পারে মানসিক রোগ।
সারাক্ষণ মা-বাবাকে ঝগড়া করতে দেখলে সম্পর্ক প্রসঙ্গে ভুল ধারণা (Thoughts) তৈরি হয় বাচ্চার মনে। স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক তার কাছে ভয়ের সম্পর্ক হয়ে দাঁড়ায়। যা বাচ্চার ভবিষ্যতের জন্য ক্ষতিকর। এতে সম্পর্কের ওপর ভরসা উঠে যায়। এর প্রভাব পড়ে প্রতিটি সম্পর্কের ওপর। বাচ্চা বয়সে এমন ভীতি মনে ঢুকে গেলে পরে বড় সমস্যা হতে পারে। তাই তার ভবিষ্যত সঠিক রাখতে নিজেদের অভ্যেস বদল করুন।
আপনাদের ওপর অবিশ্বাস তৈরি হতে পারে। বাচ্চা যদি সারাক্ষণ মা-বাবাকে অশান্তি করতে দেখে, একে অন্যকে দোষ দিতে দেখে, তাহলে তার মনে আপনাদের প্রসঙ্গে খারাপ ধারণাই তৈরি হবে। এর থেকে সে আপনারদের কোনওদিন কোনও বিষয় বিশ্বাস (Trust) করতে পারবেন না। সর্বক্ষেত্রে অবিশ্বাস কাজ করবে। তাই যত বড়ই সমস্যায় পড়ুন, তা বাচ্চার সামনে আনবেন না। বাচ্চাকে আপনাদের অশান্তির সাক্ষী করে তার ভবিষ্যত খারাপ করার প্রয়োজন নেই। তাই বাচ্চার ভবিষ্যত সুরক্ষিত করতে তাইলে এই স্বভাবের বদল করুন। নিজেদের ব্যক্তিগত সমস্যা বাচ্চার থেকে আড়াল করুন।