Baba Loknath: দুঃসময়ের একমাত্র ভরসা! বাবা লোকনাথের তিরোধান দিবসে জেনে নিন বাবার কিছু অপার মহিমার কাহিনি

২৪ পরগণার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। জৈষ্ঠ্যের এই তিথিতেই দেহত্যাগ করেছিলেন বাবা লোকনাথ-

 

deblina dey | Published : Jun 2, 2024 7:09 AM IST

শ্রীকৃষ্ণের জন্ম তিথিতে ১৭৩০ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ আগস্ট ১৮ ভাদ্র, ১১৩৭ বঙ্গাব্দে ২৪ পরগণার কচুয়া গ্রামে একটি ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন শ্রীশ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারী। তিনি ছিলেন তার বাবা-মায়ের চতুর্থ সন্তান। জৈষ্ঠ্যের এই তিথিতেই দেহত্যাগ করেছিলেন বাবা লোকনাথ। নিজের দেহত্যাগের তিথি তিনি নিজেই আগে থেকেই নির্ধারিত করে শিষ্যদের জানিয়ে রেখেছিলেন। বাংলা ১২৯৭ সালের ১৯ জ্যৈষ্ঠ ইংরেজির ১৮৯০ খ্রিষ্টাব্দ (মতভেদে) ১৬০ বছর বয়সে নির্ধারিত তিথি অনুযায়ী বাবা লোকনাথ দেহত্যাগ করেন। দেহত্যাগ করার পূর্বে ত্রৈলিঙ্গস্বামীর হাতে ভার দিয়ে যান দুই শিষ্যের। সেখানে তারা কিছুকাল যোগশিক্ষা করে ভ্রমণে বের হন বাবা লোকনাথ।

দীক্ষাগুরু হিসেবে ভগবান চন্দ্র গঙ্গোপাধ্যায় কয়েক বছর দেশে বাস করে লোকনাথ ও বেণীমাধব বন্দ্যোপাধ্যায় নামে শিষ্যদ্বয়কে সঙ্গে নিয়ে কালীঘাটে আসেন। পরে ভগবান গাঙ্গুলী তাঁদেরকে নিয়ে বারাণসীতে গমন করেন। জনশ্রুতি পশ্চিম দিকে দিয়ে আফগানিস্তান, মক্কা, মদিনা ইত্যাদি স্থান ভ্রমণ করে আটলান্টিক মহাসাগর উপকূল পর্যন্ত পৌঁছেছিলেন তিনি। পরে তিনি বেণীমাধবকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরের পথে গমন করেন।

সুমেরু এলাকা গমনের ইচ্ছায় প্রাক-প্রস্তুতি উপলক্ষে শৈত্যপ্রধান এলাকা হিসেবে বদরিকা আশ্রমে অবস্থান করেন। সেখান থেকে আধুনিক পরিজ্ঞাত সীমা অতিক্রম করে উত্তরে বহু দূর পর্যন্ত চলে যান। সেখানে সূর্যোদয় না হওয়ায় সময় নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। তবে সে পথে তাঁরা নাকি ২০ বার বরফ পড়তে ও গলতে দেখেছিলেন। শেষে হিমালয় শৃঙ্গে বাঁধা পেয়ে তাঁরা পূর্ব দিকে গমন করে চীন দেশে উপস্থিত হন।

সেখান থেকেই উভয়েই যাত্রা শুরু করে বেণীমাধব কামাখ্যায় এবং লোকনাথ বারদী গ্রামে বাস শুরু করেন। সে সময় থেকেই “বারদী’র ব্রহ্মচারী” হিসেবে লোকনাথ পরিচিতি পান। ভক্তদের কাছে সেই থেকেই তিনি বাবা লোকনাথ হিসেবেই পরিচিত। বাবা লোকনাথের আধ্যাত্মিক শক্তি সম্বন্ধে অনেক কিংবদন্তি প্রচলিত আছে। কেউ কেউ বলেন, তিনি জাতিস্মর। দেহ হতে বহির্গত হতে এবং অন্যের মনের ভাব অবলীলায় তিনি জানতে পারতেন।

এছাড়াও, অন্যের রোগ নিজ দেহে এনে রোগীকে রোগমুক্ত করার আশ্চর্য ক্ষমতা ছিল তাঁর। তাঁর বিখ্যাত বাণী 'রণে বনে জলে জঙ্গলে যখনই বিপদে পড়িবে, আমাকে স্মরণ করিও, আমিই রক্ষা করিব।' লোকনাথে জন্মস্থান নিয়ে শিষ্যদের মধ্যে বিতর্ক আছে। নিত্যগোপাল সাহা এই বিষয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন। সেই মামলার রায় অনুযায়ী তাঁর জন্মস্থান কচুয়া বলে চিহ্নিত হয়। যদিও অনেকে মনে করেন তার জন্মস্থান বর্তমান উত্তর চব্বিশ পরগণা জেলার চাকলা গ্রামে। যা চাকলাধাম নামে লোকনাথ ভক্তদের নিকট পরিচিত।

Share this article

Latest Videos

click me!

Latest Videos

Suvendu Adhikari | 'বিনীত গোয়েল প্রস্তুত থাকুন আপনাকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছি' -শুভেন্দু অধিকারী
Suvendu Adhikari : 'ভিডিও ফুটেজই প্রমাণ, ওকে গ্রেফতার করা উচিৎ' সোহম প্রসঙ্গে সাফ জবাব শুভেন্দুর!
Daily Horoscope Live: ১৪ জুন শুক্রবার মেষ থেকে মীন রাশির কেমন কাটবে আজকের দিন, দেখুন জ্যোতিষ কথা
Rachana Banerjee | 'সোহম ঠিক কাজ করেনি' রেস্তোরাঁ মালিককে মারধরের ইস্যুতে সরব রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়
Madan Mitra | 'দেব আমাকে ক্ষমা করে দিস ভাই' কেন ক্ষমা চাইলেন মদন মিত্র?