এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। নতুন হালখাতা শুরু উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা খদ্দেরদের মিষ্টি, উপহার ও বাংলা ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন।
বছরের প্রথম এই দিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। এই মাসেই যাবতীয় ব্যবসায়িক কাজকর্ম শুরু হয়। ব্যবসায়ীরা এই মাসে নতুন হালখাতা শুরু করেন। বাংলা বছরের প্রথম দিন পয়লা বৈশাখ। বছরের প্রথম দিনটি এপার ও ওপার বাংলায়, অসম ও ত্রিপুরা রাজ্যে "পয়লা বৈশাখ" নামে পরিচিত। এই দিনটি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ধর্মীয় উৎসবের মধ্য দিয়ে পালিত হয়। নতুন হালখাতা শুরু উপলক্ষে ব্যবসায়ীরা খদ্দেরদের মিষ্টি, উপহার ও বাংলা ক্যালেন্ডার বিতরণ করেন।
কলকাতার কালীঘাট মন্দির ও দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়িতে এই দিন প্রচুর পূণ্যার্থী পূজা দেন। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা লক্ষ্মী-গণেশ ও হালখাতা পুজো করেন। তাই মনে করা হয় সংসারে বা ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে সার্বিক উন্নতির জন্য এই মাসে গণেশ পুজো করা অত্যন্ত শুভ। এদিনে হিন্দু সম্পদ্রায়ে সিদ্ধি, বিঘ্ননাশকারী, অর্থ জ্ঞানের দেবতা রূপে পূজিত হন গণেশ। মানসিক শক্তি, পরিবারে সুখ-শান্তি, উপার্জন বৃদ্ধির দেবতা এই গনপতি। হিন্দুশাস্ত্র মতে মনে করা হয়, যিনি প্রতিদিন গণেশের স্তোত্র পাঠ করেন, তাঁর সমস্ত বাধা বিপত্তি দূর করা হয়।
হিন্দু পুরাণ মতে, ভক্তদের মনবাঞ্ছা পূরণ করতেই শিব-পার্বতী পুত্র মর্তে অবর্তীণ হয়েছিলেন। শুধুমাত্র দেশেই নয় দেশের বাইরেও এই দেবতা ততটাই জনপ্রিয়। সমস্ত নিয়ম মেনে এই ব্রত পালন করলে সকল সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন। বৈশাখ মাসের প্রথম দিন তাই গণেশের উপাসনা করলে সকল মনের আশা পূর্ণ হয়। তবে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে গণেশ পুজো করে সংসারে সুখ সমৃদ্ধি ফিরিয়ে আনতে পারবেন।
পুজোর জন্য উপকরণ রাখুন- পানপাতা, সুপুরি, ধূপ-ধুনো, ঠাকুরের জন্য নতুন পোষাক, ফুল, দূর্বা, মোদক, নারকেল, চন্দন কাঠ।
গণেশ মুর্তি স্থাপনের নিয়ম-
মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গা পরিষ্কার করে নিয়ে, শুদ্ধ কাপড়ে মূর্তি স্থাপন করে মন্ত্র উচ্চারণ করে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
যে কোনও পঞ্জিকায় এই মন্ত্র সহজেই পাওয়া যাবে।
এরপরেই ধূপ জ্বালিয়ে আরতি করে গণেশ বন্দনা করুন।
মূর্তিতে লাল চন্দনের টিকা দিয়ে, নারকেল ভেঙ্গে বাড়ির অশুভ শক্তি দূর করুন।
ঠাকুরের সামনে প্রদীপ জ্বালিয়ে দিনে অন্তত তিনবার আরতি করতে হবে।
এর সঙ্গে মোদক, লাড্ডু, ভোগ নৈবেদ্য নিজের সাধ্য মত দিয়ে সেরে ফেলুন গণেশ পুজো বাড়ি আর সংসার ভরিয়ে তুলুন সুখ ও সমৃদ্ধিতে।