ভাদ্রপদ পূর্ণিমার দিন থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হয়, তবে এই দিনে শ্রাদ্ধ করা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা এই বিশেষ যোগে সত্যনারায়ণের গল্প পাঠ করবেন, সেখানে বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাদ্রপূর্ণিমা ২০২৩। এবার চারটি বিশেষ শুভ যোগ রয়েছে এই পূর্ণিমা তিথিতে। এই পূর্ণিমা তিথিতে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হল দুই হাত তুলে আশীর্বাদ করেন। ভাদ্র পূর্ণিমা তিথি পড়েছে আগামী ২৯ সেপ্টেম্বর। দিনটি শুক্রবার। তাই এটি মা লক্ষ্মীর দিন। অন্যদিকে জ্যোতিষমত পূর্ণিমা তিথি হল ভগবান বিষ্ণুর সবথেকে প্রিয় তিথি। তাই ভাদ্রপূর্ণিমা অত্যান্ত শুভ একটি তিথি। এই দিন থেকে শুরু হয়ে যায় পিতৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভগবান বিষ্ণুর সবচেয়ে প্রিয় তিথি অর্থাৎ পূর্ণিমার দিনটি দেবী লক্ষ্মীকে খুশি করার জন্য খুব বিশেষ বলে মনে করা হয়। এটা বিশ্বাস করা হয় যে পূর্ণিমা ১৬টি কলায় পূর্ণ। তাই এই দিনে চন্দ্রকে অর্ঘ্য নিবেদন করলে সমস্ত ধরনের মানসিক চাপ দূর হয়। দাম্পত্য জীবন সুখের হয়। পরিবারে সুখ আর শান্তি আসে।
মনে রাখবেন ভাদ্রপদ পূর্ণিমার দিন থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হয়, তবে এই দিনে শ্রাদ্ধ করা হয় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, যারা এই বিশেষ যোগে সত্যনারায়ণের গল্প পাঠ করবেন, সেখানে বিশেষ আর্থিক সুবিধা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভাদ্রপূর্ণিমার শুভ সময়-
পূর্ণিমা তিথি শুরু হলে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৬টা ৪৯ মিনিটে। শেষ হবে শুক্রবার বিকেল ৩টে ৩০ মিনিটে। স্নান ও দানের সময় শুক্রবার ভোরবেলা- ৪টে ৩০-৫টা ২৫ পর্যন্ত। সত্যনারায়ণ পাঠের জন্য শুভ সময় হল শুক্রবার সকাল ৬টা ১৩ মিনিট থেকে বেলা ১০টা ৪২ মিনিট। লক্ষ্মীপুজোর শুভ সময় ৩০ সেপ্টেম্বর রাত ১১ ট১ ১৮ মিনিট থেকে রাত ১২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত।
ভাদ্রমাসের পূর্ণিমার দিন ৪টি শুভ যোগ রয়েছে। সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, বৃদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ এবং ধ্রুব যোগের সংমিশ্রণ থাকবে৷ সর্বার্থ সিদ্ধি ও বৃদ্ধি যোগে পূর্ণিমা তিথিতে লক্ষ্মীপূজা করার বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলেন, এটি করলে আর্থিক লাভ তো হয়ই, পাশাপাশি পূজা ও মন্ত্রও সিদ্ধ হয়। এছাড়াও দেবী লক্ষ্মীও সর্বদা এটি করে ভক্তকে আশীর্বাদ করেন। অনুগ্রহ রয়ে গেছে।