
Ambubachi Mela 2024: গুয়াহাটির ঐতিহাসিক কামাখ্যা মন্দিরে চার দিনব্যাপী বার্ষিক অম্বুবাচী মেলা ২২ জুন শুরু হবে। অম্বুবাচী মেলা হল ঐতিহাসিক কামাখ্যা মন্দিরে অনুষ্ঠিত একটি বার্ষিক হিন্দু মেলা, এবং এটি দেবী কামাক্ষ্যার মন্দিরে বার্ষিক অম্ববাবুচী মেলার উদযাপন।
নীলাচল পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত কামাখ্যা মন্দিরটি দেশের ৫১টি শক্তিপীঠের মধ্যে একটি। অসম সরকার এবং কামাখ্যা মন্দির পরিচালনা কমিটি অম্বুবাচী মেলার সমস্ত ব্যবস্থা করেছে। এই দিনে বছরে একবার ঋতুমতী হন দেবী কামাখ্যা। মনে করা হয় এই কারণেই ঠিক এইকদিন লাল থাকে ব্রহ্মপুত্র নদের রঙ।
"এই বছরের অম্বুবাচী মেলার সূচণা ২২ জুন সকাল ৮ টা ৪৫ মিনিটে করা হবে এবং এর পরে মন্দিরের প্রধান দরজা তিন দিন তিন রাত বন্ধ থাকবে। অম্বুবাচী মেলার শেষ হবে ২৬ জুন এবং প্রধান দরজা ২৬ জুন সকালে মন্দিরের সমস্ত আচার এবং পূজা শেষে ভক্তদের জন্য খোলা হবে।
গত বছর, অম্বুবাচী মেলার সময় প্রায় ২৫ লক্ষ ভক্ত মন্দিরে গিয়েছিলেন। দেশে এবং বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্তরা এখানে কামাখ্যা দেবীর আশীর্বাদ পেতে আসেন এবং তারা শান্তি অনুভব করছেন।
শাস্ত্র অনুসারে এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা অম্বুবাচীর সময়ে মেনে চলা উচিত। দেখে নেওয়া যাক সেগুলি
অম্বুবাচীর দিনগুলিতে যাঁরা শাক্তমন্ত্রে দীক্ষিত, তাঁরা এইসময়ে গুরুমন্ত্র জপ করতে পারবেন। হিন্দুশাস্ত্র মতে জপে কোনও দোষ নেই বলে মনে করা হয়। মনে করা হয় এই সময়ে ধরিত্রী মাতা ঋতুমতী হন তাই অম্বুবাচীর সময়ে ভূমিকর্ষণ ও বৃক্ষরোপণ করা নিষেধ। এই সময়ে অন্য কোনও বিশেষ পুজোর আয়োজন না করাই ভাল। তবে কোনও কোনও বছর এই সময়ে রথযাত্রার উৎসব পড়লে, তা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই করা যেতে পারে। কারণ রথযাত্রাকে নিত্যকর্ম হিসাবেই ধরা হয়। মনে করা হয় এই তিন দিনে গৃহ প্রবেশ, বিবাহ ও অন্যান্য শুভ কাজ করা উচিত নয়।