রুটিতে ঘি লাগাবেন কি দেবেন না, এই প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। যদিও কিছু মানুষ আছে যারা ঘি ছাড়া রুটি খেতে পারেন না। এখানে জেনে নিন রুটিতে ঘি লাগানো ঠিক না ভুল।
ঘি ভারতীয় খাবারের একটি বিশেষ অংশ। আমরা এটিকে খাবারের স্বাদ বৃদ্ধির পাশাপাশি শুভ কাজে এর গুরুত্ব বাড়াতে ব্যবহার করি। বিশেষ করে গরুর ঘি। অনেকে এর স্বাদ পছন্দ করেন আবার কেউ কেউ ঘি পছন্দ করেন না। মেদ বাড়ার ভয়ে কেউ কেউ ঘিও খান না। তবে রান্না ঘরের অপরিহার্য উপাদানগুলোর মধ্যে ঘি অন্যতম। খাবারে স্বাদ যোগ করতে ঘি ব্যবহার করেন প্রায় সকলেই। জানেন কি স্বাদ ফেরানো ছাড়া ঘি-এর রয়েছে একাধিক গুণ। ঘি দুধ থেকে তৈরি করা হয়। এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, বিউটরিক অ্যাসিড ও স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, প্রদাহ রোদ করতে, শরীরে ভিটামিনের জোগান ঘটাতে বেশ উপকারী।
রুটিতে ঘি লাগাবেন কি দেবেন না, এই প্রশ্ন অনেকের মনে জাগে। যদিও কিছু মানুষ আছে যারা ঘি ছাড়া রুটি খেতে পারেন না। এখানে জেনে নিন রুটিতে ঘি লাগানো ঠিক না ভুল।
বলিউডের অনেক অভিনেত্রীরই নিয়মিত খাবারের একটি অংশ ঘি। ঘি আর হলুদ দিয়ে দিন শুরু করেন শিল্পা শেঠি। এর পাশাপাশি করিনা কাপুরও ঘি খুব পছন্দ করেন। কমেডিয়ান ভারতী আরও বলেছেন যে তিনি ওজন কমানোর সময় ঘি খাওয়া বন্ধ করেননি। এখন অনেকেই মনে করেন রুটিতে ঘি যোগ করা অস্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞদের মতে, রুটিতে ঘি যোগ করলে এর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কমে যায়। এটি দীর্ঘ সময়ের জন্য আপনার পেট ভরা রাখে। তাই আপনার ওজন কমলেও ঘি দিয়ে রুটি খাওয়া আপনার জন্য ভালো।
ঘি একটি স্বাস্থ্যকর চর্বি
ঘিতে রয়েছে জলে দ্রবণীয় ভিটামিন যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। শুধু তাই নয়, ঘিতে রয়েছে ভালো কোলেস্টেরল। এটি হরমোনের ভারসাম্যও বজায় রাখে। তাই রুটিতে ঘি লাগাতে হবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ থাকলে তা লাগান।
ঘিতে উপস্থিত ফ্যাটি অ্যাসিড শুধু মেটাবলিজম ঠিক রাখে না রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে। এছাড়াও এতে লিনোলিক অ্যাসিড রয়েছে যা কার্ডিওভাসকুলার সমস্যার সম্ভাবনা কমায়।আয়ুর্বেদ অনুসারে, ভারতের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতি, আপনি যদি খালি পেটে দেশি ঘি বা খাঁটি মাখন খান তবে এটি আপনার স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তুলবে। এটি আপনার শরীরের প্রতিটি কোষকে পুষ্ট করে। দেশি ঘি চর্বি সমৃদ্ধ। এটিতে ৬২% স্যাচুরেটেড ফ্যাট রয়েছে, যা লিপিড প্রোফাইলের ক্ষতি না করেই এইচডিএল বা ভাল কোলেস্টেরল বাড়ায়।