আজ আমরা আপনাকে ভগবান কৃষ্ণের এমন একটি অলৌকিক এবং রহস্যময় মন্দিরের কথা বলছি, যেখানে তিনি নিজেই ভগবানের মূর্তির উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করেন এবং এই পবিত্র মন্দিরে দিনে দশবার ভগবানকে নিবেদন করা হয়।
হিন্দুধর্মে অনেক উৎসব পালিত হয়, যার মধ্যে জন্মাষ্টমীও খুব বিশেষ ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়ে থাকে। এ বছর ৬ সেপ্টেম্বর জন্মাষ্টমীর পবিত্র উৎসব পালিত হবে। এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপের পূজা করা হয়। ধর্মীয় পঞ্জিকা অনুসারে, ভাদ্রপদ মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে জন্মাষ্টমী উৎসব পালিত হয়।এটা বিশ্বাস করা হয় যে এই শুভ দিনে ভগবান বিষ্ণুর অষ্টম অবতার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়েছিল।
জ্যোতিষশাস্ত্রের মতে এবার জন্মাষ্টমীর উৎসব পালিত হবে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বুধবার। চাঁদের প্রিয় নক্ষত্র হল রোহিণী নক্ষত্র। আগামী ৬ সেপ্টেম্বর রোহিণী নক্ষত্র, হর্ষন ও সিদ্ধি যোগে কৃষ্ণ জন্মাষ্টমী পালিত হবে। এই বছর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের ৫২৫১ তম জন্মদিন। এই দিনে কৃষ্ণ ভক্তরা উপবাস, ব্রত পালন করেন। জন্মাষ্টমীতে গীতা পাঠ করা এবং গীতা দান করা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
এই দিনে ভক্তরা ভগবানের উপাসনা করে এবং উপবাসও রাখে। জন্মাষ্টমীর শুভ উপলক্ষ্যে, আজ আমরা আপনাকে ভগবান কৃষ্ণের এমন একটি অলৌকিক এবং রহস্যময় মন্দিরের কথা বলছি, যেখানে তিনি নিজেই ভগবানের মূর্তির উদ্দেশ্যে নিবেদিত ভোগ গ্রহণ করেন এবং এই পবিত্র মন্দিরে দিনে দশবার ভগবানকে নিবেদন করা হয়। আসুন এই মন্দির সম্পর্কে জেনে নেই।
তিরুভারপ্পু মন্দির
দক্ষিণ ভারতের কেরালা রাজ্যের তিরুভারপ্পুতে অবস্থিত মন্দিরে অনেক বিস্ময়কর অলৌকিক ঘটনা ঘটে যা সবাইকে অবাক করে। কথিত আছে যে তিরুভারপ্পু মন্দিরে ভগবান কৃষ্ণের মূর্তি খুব ক্ষুধার্ত বোধ করেন এবং তিনি নিজেই খাবারের প্রসাদ গ্রহণ করেন বলে বিশ্বাস করা হয়। প্রতিদিন এই মন্দিরে ভগবানকে দশবার খাবার দেওয়া হয়। কথিত আছে, এখানে দেবতা ক্ষুধা সহ্য করতে পারেন না, যার কারণে ভগবানের পূজার বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়। শোনা যায়, শ্রী কৃষ্ণের এই মন্দিরে ভগবানের মূল মূর্তির মুখ আর চেহারা ক্ষুধার জ্বালায় পরিবর্তিত হয়ে থাকে। যদি শ্রী কৃষ্ণের এই বিগ্রহের সামনে সময় মতো ভোগ অর্পণ না করা হয়, তাহলে খিদের জ্বালায় তার মুখ শুকিয়ে যায়, তাকে রোগা দেখতে লাগে। এমনটাই বিশ্বাস করেন এই মন্দিরের পুরোহিত থেকে ভক্তরা।
ভগবানকে ভোগ নিবেদন করা না হলে বা ভোগ নিবেদনে কোনো ব্যাঘাত ঘটলে ক্ষুধার জ্বালায় দেবতার শরীর ঝুঁকে পড়ে, তাই এখানে দেবতার ভোগের ব্যাপারে বিশেষ যত্ন নেওয়া হয়। ভগবান কৃষ্ণের মূর্তির কথা মাথায় রেখে এখানে মন্দিরের দরজা খোলা রাখা হয় এবং সময়ে সময়ে তাকে ভোগও দেওয়া হয়। বিশ্বাস করা হয় যে, এখানে যে ব্যক্তি এই ভোগ গ্রহণ করবেন, তাঁকে কখনও খিদের জ্বালায় কষ্ট পেতে হবে না।