কথিত রয়েছে শুক্রবার উপবাস করে দেবী সন্তোষীর পুজো করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। দেবীর আশীর্বাদে সংসারের ওপর থেকে কুপ্রভাব কেটে যায়।
শুক্রবার অনেকেই সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন করেন। অনেকে বাড়িতে পালন করেন অনেকেই আবার মন্দিরে যান। সন্তোষী মায়ের ব্রত পালন কিছুটা হলেও কঠিন। কারণ দেবীর পুজো করলে খাওয়াদাওয়ার ওপর অনেক বিধিনিষেধ আরোপ করা রয়েছে।
কথিত রয়েছে শুক্রবার উপবাস করে দেবী সন্তোষীর পুজো করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। দেবীর আশীর্বাদে সংসারের ওপর থেকে কুপ্রভাব কেটে যায়। রোগ ব্যাধী দূর হয়। পরিবারে সুখ আর সমৃদ্ধির ছোঁয়া লাগে। সুখের হয় দাম্পত্য জীবন। বিপদের আশঙ্কা অনেক কমে যায়। সংসারে সুখ আর সমৃদ্ধি বজায় থাকে। দেবীর আশীর্বাদে নেতিবাচন শক্তির প্রভাব অনেকটাই কমে যায়।
পুরাণ অনুযায়ী সন্তোষী মা ভগবান গণেশের মানস কন্যা। কথিত রয়েছে রাখী পূর্ণিমার দিনে গণেশকে রাখী পরিয়েছিলেন তাঁর দুই বোন। তাই দেখে গণেশের দুই ছেলে শুভ আর লাভেরও ইচ্ছে হয় রাখী পরার। ছেলের অসন্তোষ দূর করতে গণেশ তাদের বোন হিসেবে সন্তোষীকে তৈরি করে তাঁদের সামনে উপস্থিত করেন। খুশি হয় গণেশের দুই সন্তান। সন্তোষী মাও দুই ছেলের হাতে রাখী পরিয়ে দেন।
শুক্রবার সন্তোষী মায়ের জন্ম বলে ধরে নেওয়া যায়। তাই এই দিনই তাঁর পুজো করতে হয়। দেবী লাল বস্ত্র পছন্দ করেন। তাই এয়োতী মহিলা যদি পুজো করেন তাহলে লাল রঙের শাড়ি পরেই পুজো করা শ্রেয়।