প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান শ্রীরাম বিষ্ণুর একটি অবতার। যিনি মানুষ্য রূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন।
রাম নবমী গোটা দেশেই প্রথা মেনে পালন করা হয়। এই দিনটির ধর্মীয় মাহত্ম্য অনেক। প্রাচীন ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী রাম নবমীর বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী এই নিয়ে অযোধ্যার রাজা দশরথের প্রথম সন্তান ভগবান শ্রীরামের জন্মদিন। তাই এই দিনটির মাহাত্ম্য হিন্দু ধর্মে অনেক। এটি একটি পবিত্র দিন হিসেবে পালন করা হয়।
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী ভগবান শ্রীরাম বিষ্ণুর একটি অবতার। যিনি মানুষ্য রূপে এই পৃথিবীতে এসেছিলেন। এই দিনেই দেবী পার্বতী আবির্ভূত হন। তাই সনাতন ধর্মে এই দিনটি গুরুত্বপূর্ণ। এই দিনটি বিশ্ব মাতৃ দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
রাম নবমীর দিনে এই কাজগুলি করলে ভগবানের আশীর্বাদ পাওয়া যায়। বলা হয়েছে, এই দিনটি ভগবান শ্রীরামের বিশেষ পুজো করা হয়। এই দিনটিতে রামায়ণ পাঠ করতে হয়। ভগবান শ্রীরামকে দোলায় দোলা গিতে হয়। রামকে শিশুজ্ঞানে পুজো করা হয়। অনেকেই মন্দিরে গিয়ে রামের পুজো করেন।
রাম নবমীর দিনে রামের আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য অনেকেই উপবাস রাখেন। অনেকে আবার নিরামিষ খাবার খান।
রাম পুজোর শুভ তিথি
চলতি বছর ১৭ এপ্রিল পড়েছে রাম নবমী। এই দিনই মূল অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে। যদিও রাম নবমী পড়ে যাচ্ছে ১৬ এপ্রিল অর্থাৎ মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২০ মিনিটে। তবে পুজোর শুভ সময় হল- বুধবার দুপুর ১২টা ২১ মিনিট থেকে ১টা ৩৮ মিনিট। রাম নবমী শেষ হবে বুধবার দুপুর ৩টে ১৪ মিনিটে।
রাম পুজোর দিনে সূর্যদেবকে জল নিবেদন করতে পারে। এই দিন বাডডিতে আলপনা দিতে পারে। হলুদ রঙের বা গৈরিক ধ্বজা লাগানকে অনেকেই শুভ বলে মনে করেন। এই দিন রাম চাল্লিশা বা রাম স্ত্রোত পাঠ করলে ভগবান শ্রীরামের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।