আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা করা হয়। বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রথা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে।
Kojagari Lakshmi puja 2023 Date and time: ধন সম্পদের আশায় এবং সংসারের মঙ্গল কামনায় ঘরে ঘরে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়ে থাকে। অনেকেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার লক্ষ্মীর পুজো করে থাকেন। বাংলায় শারদীয়া দুর্গোৎসবের পর আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আরাধনা করা হয়। লক্ষণীয় বিষয় হল-খারিফ শস্য ও রবি শস্য ঠিক যে সময় হয় ঠিক সেই সময় বাঙালি হিন্দু মেতে ওঠে লক্ষ্মীর আরাধনায়।
বাঙালি হিন্দুর ঘরে ঘরে এ এক চিরন্তন প্রথা। হিন্দু শাস্ত্র মতে, লক্ষ্মী হলেন ধন সম্পত্তির দেবী। এছাড়া শস্য সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি ও চৈত্র সংক্রান্তিতে এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মীর পুজো হয়। তবে পুজোর উপাচারে পরিবর্তন হয় মাস ভেদে। ধান, চাল , অন্ন , খাদ্যশস্য হল লক্ষ্মী দেবীর প্রতীক। তাই যারা খাদ্য অপচয় করেন , তাঁদের ওপর দেবী লক্ষ্মী কখনোই তুষ্ট হন না বলে মনে করেন হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা।
প্রাচীন রীতি অনুযায়ী গোলাঘরকে লক্ষ্মীর প্রতীক বলা হয়। পশ্চীমবঙ্গ সহ উড়িষ্যা, আসাম সহ বিভিন্ন দেশে এই কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো করা হয়। বাংলা মাসের আশ্বিন মাসের শেষে পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো হয়। ধানক্ষেতের আশেপাশে ইঁদুর বা মূষিকের বাস এবং এরা ধানের ক্ষতি করে থাকে। পেঁচক বা পেঁচার আহার হল এই ইঁদুর।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী, বাংলা ৯ কার্তিক ১৪৩০, এবং ইংরেজি ২৭ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার শেষে শনিবার ভোর রাত ৩টে ৫৫ থেকে লাগবে পূর্ণিমা তিথি এবং থাকবে শনিবার দিনশেষে রাত ১ টা ২৫ মিনিট পর্যন্ত। বাংলা ১৯ কার্তিক ১৪৩০, এবং ইংরেজি ২৮ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার পূর্ণিমার ব্রতোপালন, উপবাস এবং নিশিপালন। শ্রীশ্রীকোজাগরী লক্ষ্মী পূজা ও রাত্রৌ কোজাগরী কৃত্যম-সহ কুমার পূর্ণিমা পালিত হবে।