বাস্তু অনুযায়ী শিবপুজোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেলপাতা। শিবঠাকুর সাধারণ একটি বেলপাতাতেই তুষ্ট হয়। বাস্তু অনুযায়ী বেলপাতা অত্যন্ত শুভ। মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়।
হিন্দুশাস্ত্রে শিবপুজোর গুরুত্ব অনেক। শিব হলেন সৃষ্টি, সংরক্ষণ আর ধ্বংসের নিয়ন্ত্রক। শিবরাত্রিরেরও গুরুত্ব অনেক। এই দিন মাটির শিবলিঙ্গ তৈরি করে পুজো করার বিধান রয়েছে। শিবপুজোয় মহাধুমধান হয় না। কিন্তু নিষ্ঠাভরে শিব পুজোর বিধান রয়েছে। বেলপাতা, গঙ্গাজল, দুধ ,ধুতরা বা আকন্দ ফুল দিয়ে শিব পুজোর বিধান রয়েছে। কিন্তু শিবপুজোয় সবথেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বেলপাতা। শাস্ত্র অনুযায়ী শুধুমাত্র বেলপাতাতেই তুষ্ট হয় ভগবান শিব। প্রাচীন নিয়ম অনুযায়ী শিবপুজোর দিন মহাদেবকে বেলপাতা নিবেদনের পর সেটি আরও ধর্মীয় মাহাত্ম্য পায়। সেটি নিজের কাথে রেখে দিন লিঙ্গেশ্বরের আশীর্বাদ পাওয়া যায়।
বেলপাতার গুরুত্বঃ
বাস্তু অনুযায়ী শিবপুজোর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল বেলপাতা। শিবঠাকুর সাধারণ একটি বেলপাতাতেই তুষ্ট হয়। বাস্তু অনুযায়ী বেলপাতা অত্যন্ত শুভ। মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়। বেলপাতা বা বেলগাঠের ওপর মহাদেবের প্রভাব থাকে। মহাশিবরাত্রিতে তাই এর গুরুত্ব অনেক বেড়ে যায়।
বেলপাতা শিবঠাকুর প্রিয়, তার শাস্ত্রমতে অনেক কারণও রয়েছে। প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী বেলপাতা শিবঠাকুরের মনকে শান্তকে রাখে। তাই শাস্ত্র অনুযায়ী বেল পাতা ছাড়া শিবঠাকুরের পুজো সম্পূর্ণ হয় না।
শিবপুরাণ অনুযায়ী বেলগাছেরও পৌরাণিক গুরুত্ব রয়েছে। প্রাচীন গাথা অনুয়াযী পার্বতীর দেহ থেকে তৈরি হয়েছিল বেলগাছের। তিনিই তখনই জানিয়েছিলেন শিবপুজোয় এই গাছের পাতা আর ফল দিলেই মহাদেব তুষ্ট হবে। আর সেই কারণেই এই গাছ মহাদেবের অত্যন্ত প্রিয়।
শিব পুজোর বেলপাতা রাখার নিয়মঃ
শিবলিঙ্গে নিবেদন করার পর সেই বেলপাতা যদি আপনি নিজের হাতে তুলে নেন তাহলে বেলপাতার পজেটিভ এনার্জি আপনার শরীরে সক্রিয় হবে। প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী পুজোয় নিবেদন করা বেলপাতায় দীর্ঘক্ষণ পর্যন্ত থাকে। তাই শিবরাত্রির দিনে বেলপাতা নিজের কাছে রাখুন।
বাস্তু টিপস অনুযায়ী নিজের শার্টের পকেটে শিবপুজোর নিবেদন করা বেলপাতা রাখতে পারেন। মহিলারা পার্সে বেলপাতা রাখতে পারেন। তাতে পজেটিভ এনার্জি আপনার শরীরে সক্রিয় হবে।