জৈন ধর্মের অনুসারীরা ভগবান মহাবীরের ৫টি মূল্যবান নীতি অনুসরণ করার ব্রত নেন। জেনে নিন মহাবীরের কোন ৫ নীতি যার মধ্যে লুকিয়ে আছে সাফল্যের আসল রহস্য-
মহাবীর জয়ন্তী ৪ এপ্রিল ২০২৩ মঙ্গলবার অর্থাৎ আগামীকাল পালিত হবে। এই দিনে জৈন ধর্মের অনুসারীরা ভগবান মহাবীরের ৫টি মূল্যবান নীতি অনুসরণ করার ব্রত নেন। জেনে নিন মহাবীরের কোন ৫ নীতি যার মধ্যে লুকিয়ে আছে সাফল্যের আসল রহস্য-
মহাবীরের ৫টি নীতি-
ভগবান মহাবীর জৈন ধর্মের চব্বিশতম তীর্থঙ্কর। মানুষের কল্যাণ ও জীবনের সাফল্যের জন্য তিনি সেই পাঁচটি নীতি বলেছেন, এগুলোকে পঞ্চশীল নীতি বলা হয়। মহাবীর বিশ্বাস করতেন যে এই ৫টি নীতি যে গ্রহণ করবে সে প্রতিটি পদক্ষেপে সাফল্য পাবে এবং অবশেষে মোক্ষ লাভ করবে।
১) সত্য - ভগবান মহাবীরের এই নীতি আমাদের সঠিক পথ জানতে শেখায়। যে পথে সত্যের ভিত্তি স্থাপিত হয়, সেখানে কিছু বাধা অবশ্যই আসে, কিন্তু সত্যের হাত ধরলে পাথুরে পথও পার হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত জয় আপনারই হবে। সত্যই একমাত্র সত্য উপাদান।
২) অহিংসা - জৈন ধর্মে অহিংসা একটি মৌলিক নীতি, মহাবীর র মতে 'অহিংসাই চূড়ান্ত ধর্ম'। তিনি বলেন, এই পৃথিবীর সব মানুষ ও প্রাণীর প্রতি অত্যাচার করো না। তাদের শারীরিকভাবে আঘাত করবেন না, কারও সম্পর্কে খারাপ ভাববেন না। যারা অহিংসা অবলম্বন করে তারা সর্বত্র সফল।
৩) অপরিগ্রহ - অপরিগ্রহ মানে কোনও বস্তু বা প্রাণীর প্রতি অত্যধিক আসক্তি। মহাবীর এই তত্ত্ব বলে যে জীবিত বা নির্জীব বস্তুর প্রতি আসক্তিই মানুষের দুঃখের সবচেয়ে বড় কারণ। ভগবান মহাবীর বলেছেন যে জিনিসের প্রাপ্যতা বা অপ্রাপ্যতা উভয় অবস্থাতেই সমান মনোভাব থাকা উচিত। বস্তু এবং মানুষের প্রতি অত্যধিক সংযুক্তি একজন ব্যক্তিকে লক্ষ্য থেকে বিভ্রান্ত করে।
আরও পড়ুন- শনি দেবকে খুশি করতে কী কী করা উচিত, জেনে নিন কোন উপায়ে দূর করবেন শনির নজর
আরও পড়ুন- কর্কট রাশিতে মঙ্গলের গোচর, ৮২ দিন ধরে এই ৪ রাশিতে হবে অর্থের বৃষ্টি
আরও পড়ুন- ২০ বছর পর একসঙ্গে ৪টি বিশেষ রাজযোগ তৈরি হবে, সূর্য-বৃহস্পতি অর্থ ও খ্যাতি বর্ষণ করবে
৪) আচৌর্য- এর অর্থ হল অন্যের জিনিসপত্র তাদের অনুমতি ছাড়া নেওয়া বা চুরি করা। এখানে চুরির অর্থ শুধু বস্তুগত জিনিস চুরি করা নয়, অন্যের প্রতি খারাপ চিন্তা (উদ্দেশ্য) করাও। 'আমি' বোধ কখনোই না রাখা। 'আমরা' বোধ সম্পন্ন ব্যক্তি উচ্চতায় পৌঁছায় এবং ঈশ্বরও এই ধরনের লোকদের সাহায্য করেন।
৫) ব্রহ্মচর্য - মহাবীর এই নীতির অর্থ অবিবাহিত না থাকা। এর অর্থ হল একজন ব্যক্তির নিজের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ব্রহ্মকে চিনতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন নিজেকে সময় দেওয়া। তিনি বলতেন ব্রহ্মচর্য হল শ্রেষ্ঠ তপস্যা, নিয়ম, জ্ঞান, দর্শন, চরিত্র, আত্মনিয়ন্ত্রণ ও নম্রতার মূল।