ঘুড়ি কিন্তু প্রথম তৈরি হয়েছিল চিনে। আর ঘুড়ি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই দেশে।
মকর সংক্রান্তির দিন এগিয়ে আসছে। এই সময়টা শহর থেকে গ্রাম সর্বত্রই আকাশ রঙিন হয়ে যায় ঘুড়িতে। একের পর এক রঙের ঘুড়িতে ছেয়ে যায় আকাশ। তবে এই ঘুড়ি কিন্তু প্রথম তৈরি হয়েছিল চিনে। আর ঘুড়ি জনপ্রিয়তা পেয়েছিল এই দেশে।
ঘুড়ি প্রথম তৈরি হয়েছিল চিনে
ঘুড়ি আবিষ্কৃত হয় চীনে। ধারণা করা হয়, খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে চীনে ঘুড়ি আবিষ্কৃত হয়। বিশ্বের প্রথম ঘুড়ি তৈরি করেন একজন চীনা দার্শনিক হুয়াং হেং। চীনে, দূরত্ব পরিমাপ করতে, বাতাস পরীক্ষা করতে, মানুষকে কিছু বলার জন্য, সংকেত দিতে এবং সামরিক অভিযানের জন্য যোগাযোগ করতে ঘুড়ি ব্যবহার করা হত।
ভারতে ঘুড়ি জনপ্রিয়
ভারতে প্রাচীন রাজা-সম্রাট থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ ঘুড়ি ওড়াতেন। এটি একটি খেলার মতো হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ঘুড়ির ব্যবসা
মকর সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে এই দেশে কয়েক কোটি টাকার ব্যবসা করে ঘুড়ি। জয়পুর আহমেদাবাদ, মুম্বইতে প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে। সেখানে আলাদা করে এই দিনে ঘুড়ি ওড়ানোর ব্যবস্থা করা হয়। তবে এই রাজ্যেও প্রচুর ঘুড়ি ওড়ে।
সতর্কতা
ঘুড়ি ওড়ানোর সময় মজা করার পাশাপাশি সতর্কতাও জরুরি। অনেক সময় ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সুতোটি বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে যায়। টান দিলে শক হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘুড়ির আঘাতে আঙুল কেটে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। অনেক শিশু ঘুড়ি ওড়ানোর সময় মনোযোগ দেয় না এবং ছাদ থেকে পড়ে যায়। কিছু শিশু রাস্তায় ঘুড়ি ওড়ায় এবং এ সময় তারা দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। ঘুড়ির সুতো খুবই ধারালো এবং এতে পাখি কেটে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। এমন পরিস্থিতিতে ঘুড়ি ওড়ানোর সময় সতর্কতা খুবই জরুরি।