শাস্ত্রে দাঁড়ানো মূর্তিকে তেমন শুভ বলে মনে করা হয় না। তবে মূর্তি কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সরস্বতীর মূর্তি দাঁড়ানো হলেও বীনা যেন কখনই তাঁর পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় না থাকে।
সরস্বতী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরস্বতী পুজো। অধিকাংশ বাড়িতেই পুজো হয়। মূর্তি এনে পুজো করার প্রচলন রয়েছে বাংলায়। লক্ষ্মী ঠাকুর মূর্তি ছাড়াও ঘটে-পটে পুজো করা হয়। কিন্তু সরস্বতী পুজো সাধারণত মূর্তি স্থাপন করেই করা হয়। যদিও অনেকের বাড়িতে ছবিতে বা ঘটেও হয়। তবে বাড়িতে বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধিকাংশ ক্ষেত্রেও মূর্তি স্থাপন করে পুজো করা হয়। কিন্তু বাস্তুমত সরস্বতী পুজো করে শুভ ফল পাওয়ার জন্য কতগুলি নিয়ম মানা জরুরি। মূর্তি বা সরস্বতীর শাড়ির রঙের ওপরেও অনেক সময় সাফল্য নির্ভর করে।
সরস্বতীর মূর্তি - বাড়িতে পুজোর জন্য সর্বদা বসে থাকা সরস্বতীর মূর্তি শুভ বলে মনে করেছেন হিন্দুশাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরা। তবে অনেকে দাঁড়ানো মূর্তিও পুজো করেন। কিন্তু শাস্ত্রে দাঁড়ানো মূর্তিকে তেমন শুভ বলে মনে করা হয় না। তবে মূর্তি কেনার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন সরস্বতীর মূর্তি দাঁড়ানো হলেও বীনা যেন কখনই তাঁর পাশে দাঁড়ানো অবস্থায় না থাকে। বীনা যেন বাদনরত অবস্থায় থাকে। কারণ সরস্বতীর অপর নামই বীনাপাণি। সাদা বা বাসন্তী রঙের সরস্বতী শুভ বলে মনে করা হয়। সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। সাদা আর হলুদ রঙ হল জ্ঞানের রঙ। সেই কারণে সরস্বতীর মূর্তি কেনার সময় অবশ্যই রঙের কথা মাথায় রাখবেন।
সরস্বতীর মূর্তি স্থাপন- সরস্বতীর মূর্তি বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে স্থাপন করা শুভ বলে মনে করা হয়। তাতে মা সরস্বতীর আশীর্বাদ লাভ করা যায়। বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে যদি সরস্বতীর মূর্তি স্থাপন করতে সমস্যা হয় তাহলে উত্তর-পূর্ব কোনে মূর্তি স্থাপন করে পুজো করতে হবে। একই বাড়িতে দুটি সরস্বতীর মূর্তি কখনই স্থাপন করবেন না। এতে দেবী রুষ্ট হয়। সরস্বতীর মূর্তি স্থাপনের আগে সেই জায়গাটি অবশ্যই পরিষ্কার করে নেবেন। মা সরস্বতী জ্ঞানের দেবী। তিনি অত্যন্ত পবিত্র। নোংরা বা অপরিষ্কার স্থান একদমই পছন্দ করেন না।