শনিঠাকুরের আশীর্বাদ পেতে হতে শ্রাবণ মাসে শনিপুজোর সঙ্গে সঙ্গে অশ্বত্থগাছের পুজো করুন। তাতে শনি ঠাকুর শান্ত হবেন। আর আপনার মনস্কামনা পুরণ করবেন।
শ্রাবণ মাস হিন্দু শাস্ত্র খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই মাসেই ভগবান বিষ্ণু নিদ্রায় যান। আর সৃষ্টির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকেন ভগবান শিব । পুরাণ মতে শিবঠাকুর আবার শনি দেবতাকে পছন্দ করতেন। তাই শ্রাবণ মেসা শনিবারের গুরুত্ব অনেক বেশি। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী এই শ্রাবণ মাসের শনিবার নিষ্ঠাভরে শনিঠাকুরের পুজো করলে দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। আর সেই কারণে শ্রাবণমাসে সোমবারের মতই গুরুত্বপূর্ণ শনিবার ।
শনিঠাকুরের আশীর্বাদ পেতে হতে শ্রাবণ মাসে শনিপুজোর সঙ্গে সঙ্গে অশ্বত্থগাছের পুজো করুন। তাতে শনি ঠাকুর শান্ত হবেন। আর আপনার মনস্কামনা পুরণ করবেন।
পুজোর নিয়মঃ শনিবার সূর্যোদনের আগে ঘুম থেকে উঠতে হবে। তারপর স্নান সেরে প্রথমে শিব পুজো করুন। তারপর শনি ঠাকুরকে প্রণাম করুন। তারপরই অশ্বত্থগাছের পুজো করুণ। অশ্বত্থগাছের পুজোর সময় গাছের গোড়া ভক্তিভরে জল দিন। তারপর ধূপ বা বাতি ধরাতে পারেন। তিলের তেলের প্রদীপ দিতে পারলে সুফল পাবেন। যদি তা নাও হয় তাহলে মোমবাতি অবশ্যই দিন। সব শেষে অশ্বত্থ গাছ প্রদক্ষিণ করেন। প্রার্থনা করুন। হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী মনে করা হয় সারা বছর অশ্বত্থ গাছ পুজো করলে আর্থিক সমস্যা কাছে ঘেঁসতে পারে না। মনে রাখবেন গাছের পুজো মানে প্রকৃতির পুজো করা। যার অর্থ শিব ঠাকুরের পুজো করা। কারণ হিন্দু শাস্ত্র মতে শিবঠাকুর বা মা দূর্গা বা পার্বতী হলেন প্রকৃতির একটি রূপ।
শনিবার শনির দোষ কাটাতে হনুমান চাল্লিশা পাঠ করতে পারেন। তবে হনুমান চাল্লিশা অন্যান্য মাসেও পাঠ করতে পারেন।শনিদেবতার প্রিয় পশু হল কুকুর। তাই এইদিন সকালে যদি কোনও কুকুর আপনার বাড়িতে ঢোকে তাহলে তাকে বের করে দেবেন না। আর সকালে যদি কোনও কুকুর আপনার বাড়ি থেকে বার হয় তাহলে জানবেন শনিদেবতা আপনার প্রতি সদয় হয়েছেন। তাই আনন্দ করুন। এই দিনে কুকুরকে কিছু খেতে দিন। তাতে জীবনের দুঃখ দূর হবে।