Sheetala Ashtami: কেন বসন্তকালে শীতলা অষ্টমীর ব্রত পালন করা হয়? রইল পুজো আর উপবাসের নিয়ম

Published : Apr 01, 2024, 09:35 PM ISTUpdated : Apr 01, 2024, 09:38 PM IST
Sheetala Ashtami 2024  Date, puja rituals know what to eat on this day bsm

সংক্ষিপ্ত

মা শীতলার ব্রত পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল দেবী শীতলাকে তুষ্ট রাখা। সাধারণ বসন্তকালে রোগভোগ দূর করার জন্যএ এই পুজোর প্রচল হয়েছে। 

ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা হিন্দুরা শীতলা অষ্টমীর ব্রত পালন করে। মা শীতলার ব্রত পালন করার মূল উদ্দেশ্য হল দেবী শীতলাকে তুষ্ট রাখা। সাধারণ বসন্তকালে রোগভোগ দূর করার জন্যএ এই পুজোর প্রচল হয়েছে। বর্তমানে এই পুজোর প্রচলন চালু রয়েছে অনেক এলাকা। দেবীর আশীর্বাদে পরিবারের সদস্যদের মঙ্গলকামনায় এপ্রিল মাসের প্রথমেই শীলতা অষ্টমীর ব্রত পালন করা হয়।

শীতলা অষ্টমীর দিন-

সাধারণত চৈত্র মাস পালন করা হয় শীতলা মায়ের ব্রত। চৈত্র মাস জুড়েই শনিবার বা মঙ্গলবার অনেকেই শীতলা পুজো করেন। তবে এবার শীতলা অষ্টমী পড়েছে ১ এপ্রিলে। রাত ৯টা ০৯ মিনিটে শুরু হচ্ছে শীতলা আষ্টমী। এটি থাকবে পরের দিন অর্থাৎ ২ এপ্রিল রাত ৮টা ০৮ মিনিট পর্যন্ত। শীতলা অষ্ঠমীর শুভ মুহূর্ত হল মঙ্গলাবর ভোট ৬টা ৩০ মিনিট থেকে সন্ধ্যে ৬টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত।

শীতলা পুজোর আচার

অষ্টমীতে খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠতে হবে। সুস্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি এবং রোগ থেকে সুরক্ষার জন্য দেবী শীতলা দেবীর উপাসনা করা। প্রাচীন হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী শীতলা দেবী তুষ্ট হলে জ্বর-জ্বালা, বসন্ত, সংক্রমিত রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

শীতলা পুজোর প্রধান রীতির মধ্যে পড়ে ঘরবাড়ির ভিরত আর বাইরে পরিচ্ছন্ন রাখা। সকালে স্নান করে কাচা কাপড় পরে তারপরই পুজো করা হয়। কেউ পটে পুজো করে। কেউ আবার মূর্তি এনে পুজো করে। ফল, মিষ্টি নিবেদন করা হয়। পরিবারের মঙ্গল কমনা করেই দেবীর কাছে আশীর্বাদ চায় ভক্তরা।

শীতলা পুজোর কারণ

হিন্দু পুরাণ ও ঐতিহ্যে শীতলা অষ্টমীর গভীর তাৎপর্য রয়েছে। দেবী শীতলা দেবী রোগের বিরুদ্ধে রক্ষক হিসাবে সম্মানিত, বিশেষ করে যেগুলি গ্রীষ্মের তাপ দ্বারা সৃষ্ট। ভক্তরা বিশ্বাস করেন যে এই দিনে তার পূজা করা অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে এবং তাদের প্রিয়জনের জন্য সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। গ্রীষ্মকাল শুরু হওয়ার আগেই এই পুজো করা হয়।

শীতলা পুজোর উপবাসে খাওয়ার রীতি

সাধারণ শীলতা পুজোর দিন অনেকের বাড়িতেই রান্না করা হয় না। অনেক জায়গায় এই বিশেষ অনুষ্ঠান ঠান্ডার উপস নামেও পরিচিত। এই দিন সাধারণত তেল মশলা ছাড়া খাবার রীতি রয়েছে। অনেকের বাড়িতে এই দিন ডাল রান্না করা হয় না। অনেকে সাধারণ ফল, দুধ,দই , মিষ্টি খেয়ে ব্রত পালন করেন। অনেকের আবার নিয়ম রয়েছে পান্তা ভাত ও নিরামিশ খাবারের। বাঙালিরা এই দিন পেঁয়াজও খায় না।

PREV
click me!

Recommended Stories

Durga Puja 2025: সঙ্ঘাতির 'দ্বৈত দুর্গা' থিমে বাংলার দুর্গা এবং শেরাওয়ালি মাতা, বিষয়টা ঠিক কী?
Durga Puja 2025: দুর্গাপুজোয় চাঙ্গা রাজ্যের অর্থনীতি? ১০-১৫% বৃদ্ধির সম্ভাবনা, আনুমানিক ৪৬,০০০-৫০,০০০ কোটি টাকা