এই দিনে যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। এই তিথিতে সোনা কেনাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। জেনে নিই কেন আমরা অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন করি এবং এই তিথির বিশেষ তাৎপর্য।
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে এই উৎসব পালিত হয়। এই দিনে যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে। এটি আখা তীজ নামেও পরিচিত। অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটিকে হিন্দু ধর্মে একটি অত্যন্ত শুভ দিন হিসাবে মনে করা হয়। এবার অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৪ সালের ১০ মে, শুক্রবার পড়ছে। এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। শুধু তাই নয়, এই দিনে যে কোনও শুভ কাজ করা যায়। এই তিথিতে সোনা কেনাও অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই কেন আমরা অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন করি এবং এই তিথির বিশেষ তাৎপর্য।
অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ সময়-
অক্ষয় তৃতীয়ার তারিখ শুরু হয় - ১০ মে ভোর ৪ টা বেজে ১৭ মিনিটে
অক্ষয় তৃতীয়া তিথি সমাপ্তি - ১১ মে রাত ২ টৌ বেজে ৫০ মিনিটে।
রোহিণী নক্ষত্র- ৩ মে বেলা ১২ টা বেজে ৩৪ মিনিট থেকে শুরু হবে এবং ৪ মে সকাল ৩ টে বেজে ১৮ মিনিটে শেষ হবে।
অক্ষয় তৃতীয়ার তাৎপর্য
অক্ষয় তৃতীয়া দিনটি শুভ ও যে কোনও কাজের জন্য শুভ। এই দিনে আবুজা মুহুর্ত পালিত হয়। বিবাহের পাশাপাশি জামাকাপড়, সোনা-রূপার গয়না, যানবাহন, সম্পত্তি ইত্যাদির কেনাকাটাও এই দিনে শুভ বলে মনে করা হয়। এই দিনে দান-ধ্যাণের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এটা করলে ধন-সম্পদ ও শস্যের অনেক বৃদ্ধি হয়।
অক্ষয় তৃতীয়া উদযাপন
বিশ্বাস করা হয় যে ভগবান পরশুরাম, ভগবান বিষ্ণুর ষষ্ঠ অবতার, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। এই দিনে অক্ষয় তৃতীয়ার সঙ্গে পরশুরাম জয়ন্তীও পালিত হয়। আবার এই দিনেই মা অন্নপূর্ণার জন্ম হয়েছিল বলে মনে করা হয়। তাই এই দিনে রান্নাঘর ও খাদ্যশস্যের পুজো করা উচিত। এমনও বিশ্বাস আছে যে এই দিনে মা গঙ্গা ভগীরথের কঠোর তপস্যায় প্রসন্ন হয়ে পৃথিবীতে অবতরণ করেছিলেন।
মহাভারত অনুসারে, এই দিনে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাদের বনবাসের সময় পান্ডবদের কাছে অক্ষয় পত্র দান করেছিলেন। অক্ষয় পত্র কখনই খালি থাকে না। তা সব সময় খাবারে পরিপূর্ণ থাকতো। যার ফলে পাণ্ডবরা খাদ্য পেতেন। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন, ভগবান শঙ্কর কুবের-কে মা লক্ষ্মীর পূজা করতে বলেছিলেন। তাই এই দিনে দেবী লক্ষ্মীর পূজা করার বিধান রয়েছে। এটা বিশ্বাস করা হয় যে নর-নারায়ণও অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে মর্তে অবতারণ করেছিলেন।