ভারতের পুরুষদের সিনিয়র দল নির্বাচন কমিটিতে এখন আছেন ৪ জন সদস্য। আরও ১ জন সদস্যের জন্য আবেদনপত্র চেয়ে বিজ্ঞাপন দিয়েছে বিসিসিআই। কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্বাচকের নাম জানা যাবে।
প্রধান নির্বাচক হিসেবে হাই প্রোফাইল কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটারকে পাচ্ছে না বিসিসিআই। এবারও নির্বাচক চেয়ে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু খুব নামী কোনও প্রাক্তন ক্রিকেটার নির্বাচক হতে চেয়ে আবেদন করেননি। এই পরিস্থিতিতে কিছুটা বাধ্য হয়েই প্রাক্তন পেসার অজিত আগরকরকে হয়তো প্রধান নির্বাচক করতে হবে। এর আগেও ২ বার নির্বাচক হতে চেয়ে আবেদন করেছিলেন আগরকর। কিন্তু তাঁর পক্ষে নির্বাচক হওয়া সম্ভব হয়নি। এবার তিনিই প্রধান নির্বাচক হতে চলেছেন বলে বিসিসিআই সূত্রে খবর। শনিবার আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেওয়া শুরু করবে বিসিসিআই-এর ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি। ফলে কয়েকদিনের মধ্যেই নতুন নির্বাচকের নাম জানা যাবে।
আগরকর নতুন নির্বাচক হন, তাহলে পশ্চিমাঞ্চল থেকে ২ জন নির্বাচক থাকবেন। কারণ, সলিল আঙ্কোলা এখন নির্বাচক। বর্তমানে কার্যনির্বাহী প্রধান নির্বাচক শিবসুন্দর দাস। তাঁর চেয়ে বেশি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন আগরকর। ফলে তিনিই প্রধান নির্বাচক হবেন। ওড়িশার প্রাক্তন ব্যাটার শিবসুন্দর ২৩টি টেস্ট ম্যাচ ও ৪টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। অপর এক নির্বাচক সুব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ১টি টেস্ট ম্যাচ ও ৬টি ওডিআই ম্যাচ খেলেছেন। আঙ্কোলা ১টি টেস্ট ম্যাচ ও ২০টি ওডিআই ম্যাচ খেলেন। শ্রীধরন শরৎ আন্তর্জাতিক ম্যাচই খেলেননি। তিনি ১৩৯টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ এবং ১১৬টি লিস্ট এ ম্যাচ খেলেছেন। সেখানে আগরকর ২৬টি টেস্ট ম্যাচ, ১৯১টি ওডিআই ম্যাচ এবং ৪টি টি-২০ ম্যাচ খেলেছেন। আইপিএল-এও ৪২টি ম্যাচ খেলেছেন আগরকর। বর্তমান নির্বাচকরা সবাই মিলে ৫৫টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। ফলে তাঁদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় অনেক এগিয়ে আগরকর। সেই কারণেই তাঁকে প্রধান নির্বাচক করা হতে পারে।
বিসিসিআই-এর এক কর্তা বলেছেন, 'ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটি হাই প্রোফাইল একজনকে প্রধান নির্বাচক হিসেবে নিয়োগ করতে চাইছে। দল নির্বাচন নিয়ে টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে মতবিরোধ হলে প্রধান নির্বাচক যাতে দৃঢ়ভাবে মতপ্রকাশ করতে পারেন, সেরকমই কাউকে নিয়োগ করার পরিকল্পনা রয়েছে।'
একটি টেলিভিশন চ্যানেলের স্টিং অপারেশনে বিস্ফোরক মন্তব্য করার পর প্রধান নির্বাচক পদ থেকে সরে যেতে বাধ্য হন চেতন শর্মা। তারপর থেকেই প্রধান নির্বাচক পদ শূন্য রয়েছে। একাধিক সিরিজে দল নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ঘরোয়া ক্রিকেটকে গুরুত্ব না দেওয়া নিয়ে নির্বাচকদের সমালোচনা করেছেন সুনীল গাভাসকর, রবি শাস্ত্রীর মতো প্রাক্তন তারকারা। এই পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচক হলে আগরকরের বড় দায়িত্ব থাকবে।
আরও পড়ুন-
নির্বাচকরা কি নিজেদের ঈশ্বর মনে করেন? সরফরাজ খানকে সুযোগ না দেওয়া নিয়ে তোপ ডব্লু ভি রমনের
১০০টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলার পরেও নিজেকে শিক্ষার্থী ভাবি: প্রিয়াঙ্ক পাঞ্চাল
Mahendra Singh Dhoni: উড়ানে ক্যান্ডি ক্রাশ খেলছেন ধোনি, ভিডিও ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়