
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিলেও, আইপিএল-এ খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন চেন্নাই সুপার কিংসের কিংবদন্তি মহেন্দ্র সিং ধোনি। তিনি আগামী আইপিএল-এও খেলবেন।
ক্রিকেটে সর্বকালের সেরা খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন মহেন্দ্র সিং ধোনি। দীর্ঘ চুল রেখে একজন সাধারণ উইকেটরক্ষক হিসেবে ভারতীয় দলে যোগদান করেন। প্রথমদিকে কিছু ম্যাচে সুযোগ পাবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ ছিল। এরপরে অসাধারণ খেলে নিজেকে প্রমাণ করেছেন এবং আজ বিশ্ব তাকে নায়ক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা, বুদ্ধিমত্তা, ডিআরএস নেওয়ার পদ্ধতি, খেলোয়াড়দের পরিচালনা, ফিল্ডিং সেটআপ, বোলারদের পরিবর্তনের মতো ক্রিকেট দক্ষতার মাধ্যমে ভারতীয় দলকে একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতান। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়া ধোনি আইপিএলে নেতৃত্ব দিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস দলকে ৫ বার ট্রফি জেতান।
ধোনি যখন ব্যাট করতে নামতেন, তখন প্রতিপক্ষের বোলারদের মনে ভয় কাজ করত। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচে কম বলে অর্ধশতরান হাঁকিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ব্রায়ান লারাকে হার মানতে বাধ্য করেছিলেন।
একদিকে ধোনি, অন্যদিকে ক্রিকেটে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধু যুবরাজ সিং। অনেক ম্যাচে ধোনি ও যুবরাজ একসাথে দলকে জয় এনে দিয়েছেন। ২০১১ সালের একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে যুবি ও ধোনি একসঙ্গে ভারতীয় দলকে জয় এনে দেন।
২০০৮ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে একদিনের সিরিজে যুবরাজ সিং 'ম্যান অফ দ্য সিরিজ' নির্বাচিত হন এবং তাঁকে একটি বাইক উপহার দেওয়া হয়। যুবরাজ ও ধোনি সেই বাইক নিয়ে মাঠে ঘুরে বেরিয়েছিলেন। ধোনি সেই বাইক চালিয়েছিলেন।
সেই সময় তাঁরা দুজনেই ভালো বন্ধু ছিলেন। কিন্তু কিছু কারণে তাদের মধ্যে মনোমালিন্য তৈরি হয়। তখন থেকে ধোনি এবং যুবির মধ্যে সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে তাঁরা প্রায় কথা বলা বন্ধ করে দেন।
২০০৭ সালে ধোনির নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া ঐতিহাসিক টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করে। এর ঠিক পরের বছর অর্থাৎ ২০০৮ সালে ধোনিকে তিন ফর্ম্যাটেই ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়।
এরপর ২০১৪ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে যুবরাজ সিং ধীরগতিতে ব্যাটিং করেন। ফলে শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে ভারত রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকে। তীব্র সমালোচনার মুখে পড়তে হয় যুবরাজকে।
যুবরাজ সিংয়ের বাবা যোগরাজ সিং সুযোগ পেলেই ধোনির সমালোচনা করতেন। কিন্তু ধোনি এখনও পর্যন্ত যুবি এবং তাঁর বাবার সমালোচনার কোনও জবাব দেননি।