ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। সিরিজের শেষ ম্যাচেও একই ঘটনা দেখা যাচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা যেমন ভালো পারফরম্যান্স দেখালেন তেমনই ভারতের বোলাররাও লড়াই করলেন।
তৃতীয় ওডিআই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ২৬৯ রানে অলআউট হয়ে গেল অস্ট্রেলিয়া। ৪৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৫৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন কুলদীপ যাদব। ৩৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন মহম্মদ সিরাজ। ৫৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিলেন অক্ষর প্যাটেল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সর্বাধিক ৪৭ রান করলেন ওপেনার মিচেল মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শুরুটা যেভাবে করেছিলেন মার্শ ও ট্রেভিস হেড, তাতে মনে হচ্ছিল ৩০০ পেরিয়ে যাবে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর। কিন্তু হার্দিকের নেতৃত্বে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন ঘটান ভারতের বোলাররা। ৬৮ রানে প্রথম উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। এরপর ৮৫ রানের মধ্যে ৩ উইকেট পড়ে যায়। নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট নিতে থাকেন কুলদীপ-অক্ষররা। এরই মধ্যে কিছুটা লড়াই করেন অ্যালেক্স কেরি (৩৮), মার্নাস লাবুশেন (২৮), ডেভিড ওয়ার্নার (২৩), মার্কাস স্টোইনিস (২৫), শন অ্যাবট (২৬), অ্যাশটন আগর। মিচেল স্টার্ক করেন ১০ রান। অ্যাডাম জাম্পা ১০ রান করে অপরাজিত থাকেন। রান পাননি অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। তিনি ৩ বল খেলে ০ রানে আউট হয়ে যান।
অস্ট্রেলিয়ার কোনও ব্যাটারই এদিন অর্ধশতরান পেলেন না। কিন্তু সবাই মিলে লড়াই করে লড়াই করার মতো স্কোরে পৌঁছে দিলেন দলকে। ২০০৬ সালে ম্যাঞ্চেস্টারে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ২৮৫ রান করে ইংল্যান্ড। ওডিআই ম্যাচে কোনও ব্য়াটার অর্ধশতরান না করা সত্ত্বেও কোনও দলের এটাই সর্বাধিক স্কোর। বুধবার কাছাকাছি পৌঁছল অস্ট্রেলিয়া।
চেন্নাইয়ের এমএ চিদম্বরম স্টেডিয়ামে অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখানো কুলদীপ বলেছেন, ‘আমি এই মাঠে ভারতীয় এ দলের হয়ে সিরিজ খেলেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি জানতাম, এখানকার উইকেট একটু মন্থর। এই কারণে বল একটু বেশি স্পিন করানোর চেষ্টা করছিলাম। আমি যে উইকেটগুলি পেয়েছি সেগুলি গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অ্যালেক্স কেরির উইকেট নিতে পেরে আমার বেশি ভালো লেগেছে। আমি ভালো পারফরম্যান্স দেখানোর জন্য পরিশ্রম করছিলাম। উইকেটে বল রাখার চেষ্টা করছিলাম। এরই মধ্যে বল স্পিন করানোর চেষ্টাও করছিলাম। ফলে কট বিহাইন্ডের সুযোগ ছিল। ডেভিড ওয়ার্নারের ব্যাটের কানায় লেগে যেভাবে ক্যাচ উঠেছে, সেভাবেও উইকেট পাওয়ার সুযোগ ছিল। মার্শ যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিল তাতে মনে হচ্ছিল ওরা ৩০০ রানের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। কিন্তু হার্দিক যেভাবে অসাধারণ বোলিং করল, ৩ উইকেট পেল, তার ফলেই আমরা ম্যাচে ফিরলাম। এই উইকেট মন্থর। ফলে আমাদের সতর্কভাবে ব্যাটিং করতে হবে।’
আরও পড়ুন-
এলিমিনেটরে জয় পাবে মুম্বই ইন্ডিয়ানস, আত্মবিশ্বাসী ন্যাট স্কিভার-ব্রান্ট
৫ অক্টোবর শুরু হতে পারে ওডিআই বিশ্বকাপ, ফাইনালের সম্ভাব্য দিন ১৯ নভেম্বর
০ রানে ৭ উইকেট! আইপিএল-এর আগে হঠাৎ খেলতে নেমেই অসাধারণ নজির সুনীল নারিনের