বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডের রেকর্ড কোনওদিনই ভাল না। কাতারেও ইংল্যান্ডকে বেগ দিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
১৯৫০ সালের বিশ্বকাপে অপ্রত্যাশিতভাবে ১-০ গোলে হার, যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে অন্যতম অঘটন হিসেবে পরিচিত। ২০১০ সালের বিশ্বকাপে ১-১ ড্র। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বিশ্বকাপে সাক্ষাৎকারের স্মৃতি কোনওদিনই ইংল্যান্ডের কাছে মধুর নয়। কাতার বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬-২ গোলে জয় পাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। হ্যারি কেন, গ্যারেথ সাউথগেটরা আমেরিকার বিরুদ্ধে রেকর্ড বদলাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেটা করতে পারলেন না তাঁরা। গোলশূন্যভাবে শেষ হল ম্যাচ। ৩২ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচের শট বারে লেগে ফিরে না এলে জয়ও পেতে পারত আমেরিকা। ২ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে নক-আউটে যাওয়ার দিকে অনেকটা এগিয়ে থাকল ইংল্যান্ড। কিন্তু নক-আউটের যোগ্যতা অর্জন করার জন্য শেষ ম্যাচ পর্যন্ত অপেক্ষা করে থাকতে হবে হ্যারি কেনদের। বিশ্বকাপে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে এখনও হারাতে পারল না ইংল্যান্ড। মাথা উঁচু করেই মাঠ ছাড়লেন মার্কিন ফুটবলাররা।
ইরানের বিরুদ্ধে হ্যারি কেন, রাহিম স্টার্লিংদের যেরকম ছন্দে দেখা গিয়েছিল, আমেরিকার বিরুদ্ধে সেই ছন্দে খেলতে পারল না ইংল্যান্ড। এদিন উল্লেখ করার মতো খুব বেশি আক্রমণ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় প্রথম বলার মতো আক্রমণ করেন হ্যারি কেন। তাঁর শট আটকে দেন ওয়াকার জিমারম্যান। এরপর আক্রমণের চাপ বাড়াতে থাকে আমেরিকা। ২৬ মিনিটে বক্সের মধ্যে ওয়েস্টন ম্যাককেনিকে বল সাজিয়ে দিয়েছিলেন টিমোথি উইয়া। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন ম্যাককেনি। এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিসিচের অসাধারণ শট বারে লেগে ফিরে আসে। না হলে তখনই এগিয়ে যায় আমেরিকা। ৪৩ মিনিটে সার্জিনো ডেস্টের বাড়ানো বল থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পুলিসিচ। প্রথমার্ধের শেষদিকে ভাল একটি শট নেন ইংল্যান্ডোর বুকায়ো সাকা। তবে সেই শট বারের উপর দিয়ে চলে যায়। এরপর ম্যাসন মাউন্টের শট সেভ করে দেন আমেরিকার গোলকিপার ম্যাট টার্নার। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্যভাবে। এরপর অনেকেই আশা করেছিলেন, দ্বিতীয়ার্ধে হয়তো গোলের জন্য ঝাঁপাবে ইংল্যান্ড। কিন্তু সেটা দেখা গেল না।
এই ম্যাচ ড্র হওয়ায় ছন্দ নষ্ট হল ঠিকই, কিন্তু খুব বেশি চাপে পড়ে গেল না ইংল্যান্ড। গ্রুপের শেষ ম্যাচে ওয়েলশের কাছে না হারলেই নক-আউটে চলে যাবে সাউথগেটের দল। অন্যদিকে, আমেরিকাকে নক-আউটে যেতে হলে গ্রুপের শেষ ম্যাচে ইরানকে হারাতেই হবে। ইরান যদি জিতে যায়, তাহলে এশিয়ার দলটাই নক-আউটে চলে যাবে।
আরও পড়ুন-
হিজাব-বিরোধী আন্দোলনকে সমর্থন, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেফতার ইরানের ফুটবলার
চোটের জন্য বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে আর কোনও ম্যাচে খেলতে পারবেন না নেইমার
কাতারে জোগো বোনিতো, প্রথম ম্যাচেই সাম্বা ম্যাজিক, রিচার্লিসনের জোড়া গোলে জয়