
মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও ম্যাতোস পিরেস। ভারতের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে এই নাম অপরিচিত। শুধু নামের প্রথম দুই অংশ পরিচিত। কিন্তু এই নামে ভারতে কোনও ফুটবলার নেই। তবে ভারতের অনেক ফুটবলপ্রেমীর সঙ্গে যে দেশের আত্মিক যোগ, সেই ব্রাজিলের পেশাদার ফুটবলার পিরেস। তাঁর বাবা-মা ব্রিটিশ শাসনাধীন ভারতে মহাত্মা গান্ধীর অহিংস আন্দোলনে অনুপ্রাণিত। এই কারণেই তাঁরা ছেলের নাম রাখেন মহাত্মা গান্ধী। ব্রাজিলে জন্ম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ছোটবেলা থেকে ফুটবলের প্রতি আকর্ষণ ছিল পিরেসের। তিনি পেশাদার ফুটবলার হয়ে ওঠেন। গত কয়েক দশকে ব্রাজিল থেকে অনেক ফুটবলার ভারতের বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। কিন্তু পিরেস শুরু থেকেই ব্রাজিলে ক্লাব ফুটবল খেলেছেন। তিনি কোনওদিন ভারতে খেলতে আসেননি।
ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মহাত্মা গান্ধী
ভারতে এসে স্বাধীনতা সংগ্রামে যোগ দেওয়ার আগে ১৮৯৩ সাল থেকে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকায় ছিলেন মহাত্মা গান্ধী। সেখানে তিনি নানারকম কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্যাসিভ রেসিস্টার্স ফুটবল ক্লাবের হয়ে তিনটি দল গঠন করেন মহাত্মা গান্ধী। এই তিনটি দল ছিল জোহানেসবার্গ, প্রিটোরিয়া ও ডারবানে। ভারতে ফিরে অবশ্য সরাসরি ফুটবলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না মহাত্মা গান্ধী। যদিও তাঁর অসহযোগ আন্দোলনে সাড়া দিয়ে জাতীয় দলের হয়ে বিদেশ সফর থেকে সরে গিয়েছিলেন গোষ্ঠ পাল। গড়ের মাঠে মহাত্মা গান্ধীর আন্দোলনের প্রভাব পড়েছিল।
কেমন ফুটবলার মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও ম্যাতোস পিরেস?
১৯৯২ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি ব্রাজিলে জন্ম হয় মহাত্মা গান্ধী হেবেরপিও ম্যাতোস পিরেসের। তিনি ২০১১ সালে পেশাদার ফুটবলার হিসেবে খেলা শুরু করেন। কেরিয়ারের শুরুতে ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হিসেবে খেললেও, পরবর্তীকালে সেন্ট্রাল মিডফিল্ডার, লেফট ব্যাক হিসেবেও খেলেছেন পিরেস। তিনি ব্রাজিলের বড় কোনও দলের হয়ে খেলার সুযোগ পাননি। কেরিয়ারের বেশিরভাগ সময়ই লোনে বিভিন্ন ক্লাবে যোগ দিয়েছেন। খেলার চেয়েও নামের জন্যই বেশি আলোচনায় থেকেছেন ৩২ বছর বয়সি এই ফুটবলার।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
১৫ আগস্ট ১৯৪৭, কেন মহাত্মা গান্ধী স্বাধীনতা উদযাপনে অংশগ্রহণ করতে অস্বীকার করেছিলেন
Viral Video: বিরাট কোহলির ঠাকুর্দা মহাত্মা গান্ধী! ইউটিউবার আই শো স্পিডের প্রশ্নে হতবাক জনতা