বেলজিয়ামে লক্ষ্য ভেদ করলেন একা ১৮ বছরের তরুণ ছেলে। প্রবাসী বাঙ্গালী লক্ষ্য সেন যেভাবে এগিয়ে চলেছেন তাতে আগামী দিনে কাশ্যপ,কিদাম্বিদের সঙ্গে একসঙ্গেই তাঁর নামও উচ্চারিত হবে। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনে মহিলা খেলোয়াড়দের দাপট। সাইনা সিন্ধু হোকা বা জ্বালা গুট্টা অশ্বিন পোনাপ্পারাই থেকেছেন খবরের শিরোনামে। পারুপল্লি কাশ্যপ. বি সাই প্রনিথ বা কিদাম্বি শ্রীকান্থরা ভার পারফর্ম করলেও সাইনা সিন্ধুদের দাপটে থাবা বসাতে পারেননি। এবার কি এক তরুণের হাত ধরে ছবিটা বদলাবে? প্রবাসী বাঙ্গালী লক্ষ্য সেন, সেই স্বপ্নই দেখাচ্ছেন। শনিবার রাতে কিছুটা অঘটন ঘটিয়ে বেলজিমা থেকে জিতে নিলেন বেলিজিয়ান ইন্টারন্যাশনালের খেতাব।
সেমিফাইনালে ডেনমার্কের কিম ব্রানকে হারিয়ে প্রথম চমটা দিয়েছিলেন লক্ষ্য। সেই ম্যাচটা জিতেছিলেন দাপটের সঙ্গেই। স্ট্রেট গেমে উড়িয়ে দিয়েছিলেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে। শনিবার ফাইনালেও একই দাপট ধরে রাখলেন লক্ষ্য। প্রথম গেমে ডেন মার্কের প্রতিপক্ষ লক্ষ্যকে চেপে ধরার চেষ্টা করেন। কিন্ত তাতে লাভ হয়নি। ডেনমার্কের ভিক্টর একটা সময় ১১-৯ এ এগিয়ে গেলেও লক্ষ্য পাল্টা দিয়ে প্রথম গেম নিজের দখলে নিয়ে নেন। দ্বিতীয় গেমে আর খুব একটা প্রতিরোধ গড়তে পারেননি ড্যানিশ খেলোয়াড়। ২১-১৫তে দ্বিতীয় গেমে হেরে যান তিনি। লক্ষ্য মাত্র ২৪ মিনিটেই জয় ছিনিয়ে নিলেন।
উত্তরাখন্ডের আলমোরায় জন্ম লক্ষ্যর। তাঁর পরিবার পরিচিত ব্যডমিন্টন পরিবার নামেই। লক্ষ্যের বাবা ডিকে সেন ব্যাডমিন্টন কোচ। তাঁর হাত ধরেই কোর্টে নামা শুরু করেন লক্ষ্য। তাঁর দাদা চিরাগ সেনও আত্নর্জাতিক স্তরে ব্যাডমিন্টন খেলেছেন। ২০১৮ যুব অলিম্পিকে রূপো জিতে প্রথমবার খবরের শিরোনামে উঠে আসেন লক্ষ্য সেন।