প্রথম বাঙালি হিসেবে বিশ্বমানের ক্যারাটে প্রতিযোগিতায় রেফারিং করে এলেন প্রেমজিৎ সেন

মার্শাল আর্টে বাঙালিদের আগ্রহ নতুন নয়। বড়পর্দায় ব্রুস লি-কে দেখার অনেক আগে থাকতেই বাংলা মার্শাল আর্টের চর্চা চলছে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরও মার্শাল আর্টে আগ্রহ ছিল। তিনি শান্তিনিকেতনে যুযুৎসু শিক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন।

Web Desk - ANB | Published : Mar 14, 2023 9:18 AM IST / Updated: Mar 14 2023, 03:19 PM IST

মার্শাল আর্টে বাঙালির নতুন নজির। প্রথম বাঙালি হিসেবে তুরস্কের কোনিয়া শহরে ওয়ার্ল্ড ক্যারাটে ফেডারেশন আয়োজিত ক্যারাটে ১-সিরিজ এ প্রতিযোগিতায় রেফারি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন প্রেমজিৎ সেন। ক্যারাটে খেলোয়াড় হিসেবে দুর্দান্ত সাফল্য পেয়েছেন প্রেমজিৎ। দু'বার মার্শাল আর্টস বিশ্বকাপে সোনা জেতেন এই বঙ্গসন্তান। খেলা থেকে অবসর নেওয়ার পর কোচিং ও রেফারিং করছেন প্রেমজিৎ। তিনি এখন ক্যারাটে ইন্ডিয়া অর্গানাইজেশনের রেফারি কমিশনের চেয়ারম্যান। ৮ মার্চ তুরস্কের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে যান প্রেমজিৎ। সেই প্রতিযোগিতায় সাফল্যের সঙ্গে অনেক ম্যাচ পরিচালনা করে সোমবারই দেশে ফিরেছেন তিনি। এশিয়ানেট নিউজ বাংলাকে সেই অভিজ্ঞতার কথা জানালেন প্রেমজিৎ।

এখন ক্যারাটেতে দেশের সেরা রেফারি প্রেমজিৎ। আন্তর্জাতিক স্তরে আরও সাফল্য় পাওয়াই তাঁর লক্ষ্য। অলিম্পিক গেমস ও ক্যারাটে বিশ্বকাপে রেফারিং করতে চান প্রেমজিৎ। তিনি জানিয়েছেন, 'তুরস্কে এত বড় প্রতিযোগিতায় যোগ দিতে পেরে আমার খুব ভালো লেগেছে। ক্যারাটে রেফারি হওয়া সহজ নয়। অনেক কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তবেই রেফারি হওয়া যায়। শুধু বই পড়ে এই পরীক্ষায় পাশ করা যায় না। খেলা বুঝতে হয়। আমি খেলোয়াড় হওয়ায় সুবিধা হয়েছিল। তবে আমাকেও কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। তুরস্কে ফাইনাল-সহ বিভিন্ন পর্যায়ে অনেক ম্যাচে রেফারিং করেছি। ফাইনালে ৫টি ম্যাচ পরিচালনা করেছি। আন্তর্জাতিক স্তরে ক্যারাটের মান এখন অনেক উন্নত হয়েছে। রেফারি হিসেবে সব ম্যাচই কাছ থেকে দেখেছি। আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে তুরস্ক ও ইরানের ম্যাচ। ইরান ফেভারিট ছিল কিন্তু দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে চ্য়াম্পিয়ন হয় তুরস্ক।'

বাংলায় এখন ক্যারাটে নিয়ে কী কাজ হচ্ছে? প্রেমজিৎ জানালেন, 'মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে রাজ্যের প্রতিটি প্রান্তে ছড়িয়ে গিয়েছে ক্যারাটে। প্রত্যেকের আত্মরক্ষার দায়িত্ব নিজের। সে কথা মাথায় রেখেই সুন্দরবন থেকে শুরু করে পাহাড় পর্যন্ত সব জায়গায় ক্যারাটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। ছেলে-মেয়েরা উন্নতিও করছে। আমার ছাত্র-ছাত্রীরাও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনেক প্রতিযোগিতায় সাফল্য পেয়েছে। আরও উন্নতি করাই আমার লক্ষ্য।'

প্রেমজিৎ আরও বললেন, 'খেলোয়াড়রা সন্ন্যাসীর মতো হয়। পরিবার পাশে না থাকলে কারও পক্ষে খেলায় উন্নতি করা সম্ভব নয়। আমার বাবা-মা র অনেক অবদান আছে। আমার স্ত্রীও প্রচুর সাহায্য করেছেন, সবসময় পাশে থেকেছেন। সবার মিলিত অবদানের ফলেই আমার পক্ষে এই জায়গায় পৌঁছনো সম্ভব হয়েছে।'

আরও পড়ুন-

হাওড়া ইউনিয়নের শতবর্ষ, ক্লাব তাঁবুতে বিশেষ অনুষ্ঠানে সৌরভ, গুরবক্স, সম্বরণ

চিঠি লিখে প্রশংসা প্রধানমন্ত্রীর, ট্যুইট করে ধন্য়বাদ জানালেন সানিয়া মির্জা

পিটি ঊষা, দীপা কর্মকার, পিভি সিন্ধু, ক্রীড়াক্ষেত্রে দেশের নাম উজ্জ্বল করেছেন এই মহিলারা

Share this article
click me!