টোকিও অলিম্পিকে মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে তিনটি পদকই জিতলেন জামাইকার দৌড়বিদরা। অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে নিজের তাজ রক্ষা করলেন এলেন থম্পসন-হেরা, দ্বিতীয় ,স্থানে শেষ করলেন কিংবদন্তি দৌড়বিদ শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস।
অলিম্পিকে যে ইভেন্টগুলির দিকে গোটা বিশ্বের নজর থাকে, তার অন্যতম মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়। সেই প্রতিযোগিতায় ফের জয়-জয়কার হল জামাইকার। তিনটি পদকই জিতলেন জামাইকার দৌড়বিদরা। অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে নিজের তাজ রক্ষা করলেন এলেন থম্পসন-হেরা। শনিবার টোকিওয় ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম সময়ে এই দৌড় শেষ করলেন তিনি। অন্যদিকে দুইবারের অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন, কিংবদন্তি দৌড়বিদ শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস রুপো নিয়েই সন্তুষ্ট থাকেন। ব্রোঞ্জ দিতেছেন শেরিকা জ্যাকসন।
এদিন থম্পসন-হেরা ১০.৬১ সেকেন্ডে দৌড় শেষ করে .০১ সেকেন্ডের তফাতে অলিম্পিক রেকর্ড ভেঙে দেন। প্রসঙ্গত এই সময়টা মেয়েদের ১০০ মিটারে সর্বকালের দ্বিতীয় সেরা সময়ও বটে। এর আগে এই সময় করেছিলেন প্রয়াত কিংবদন্তি মার্কিন দৌড়বিদ ফ্লোরেন্স গ্রিফিথ-জয়নার। সর্বকালের সেরা সময়ের রেকর্ডও রয়েছে জয়নারের দখলেই, সময়টা অবিশ্বাস্য, ১০.৪৯ সেকেন্ড। শেলি-অ্যান ফ্রেজার-প্রাইস দৌড় শেষ করেন ১০.৭৪ সেকেন্ডে আর শেরিকা জ্যাকসন ১০.৭৬ সেকেন্ড।
থম্পসন-হেরা রিও-তে সোনা জিতলেও এবারের অলিম্পিকে সম্ভাব্য বিজয়ী ধার হচ্ছিল ফ্রেজার-প্রাইসকেই। এদিনের দৌড়ের আগে পর্যন্ত এই বছর ১০০ মিটারে তিনিই ছিলেন বিশ্বের দ্রুততমা। ৩৪ বছরের ফ্রেজার প্রাইস সোনা জিতলে শুধু যে প্রথম মহিলা হিসাবে ট্র্যাক এবং ফিল্ডে তিনটি অলিম্পিক সোনা জিততেন তাইই নয়, বয়স্কতমা স্প্রিন্টার হিসাবেও অলিম্পিক সোনা জয়ের রেকর্ড করতেন। ২০০৮ বেজিং এবং ২০১২ লন্ডন অলিম্পিকে এই ইভেন্টে সোনা জিতেছিলেন ফ্রেজার-প্রাইস। রিও-তে পেয়েছিলেন ব্রোঞ্জ। এবার শেষ পর্যন্ত সোনা না পেলেও, রুপো জিতে বুঝিয়ে দিলেন তিনিই সম্ভবত মেয়েদের ট্র্যাকে সর্বকালের সেরা।
নিজের করা অলিম্পিক রেকর্ড স্কোরকার্ডের সঙ্গে এলেনা থম্পসন-হেরা
টোকিও অলিম্পিকের মহিলাদের ১০০ মিটার দৌড়ে ফিনিশিং লাইন ছোঁওয়ার মুহুর্ত
এদিন শুরুটা থম্পসন-হেরার থেকে বেশি ভাল করেছিলেন ফ্রেজার-প্রাইসই। প্রায় ৬০ মিটারের মাথায় পিছন থেকে এসে তাঁকে ধরে ফেলেছিলেন থম্পসন-হেরা। তারপর বাকি রাস্তাটায় তিনি বুঝিয়ে দেন কে আসল চ্যাম্পিয়ন। ফিনিশিং লাইন ক্রস করার সময়, তাঁর ধারে কাছে কেউ ছিলেন না। এই বছর ফ্রেজার-প্রাইস এগিয়ে থাকলেও, থম্পসন-হেরা যে ছেড়ে কথা বলবেন না, তার প্রমাণ মিলেছিল সেমিফাইনালেই। সেই দৌড়ে ফিনিশিং লাইনের ঠিক আগে গতি শ্লথ করে দিয়েও ১০.৭৬ সময়ে দৌড় শেষ করেছিলেন তিনি। সোনা জেতার পর থম্পসন-হেরা জানিয়েছেন, অলিম্পিক চ্যাম্পিয়নের শিরোপা ধরে পেরে তিনি সত্যিই খুব খুশি।