দরজায় কড়া নাড়ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১। দিকে দিকে শাসক-বিরোধী সব মিলে রণং-দেহী ভাবমূর্তি। স্লোগান-মিটিং-মিছিল মিলিয়ে সরগরম বাংলার প্রাক নির্বাচনী পরিবেশ। বাংলায় এই প্রথম নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ভুয়ো ভোটারদের শনাক্ত করতে এবং তাত্ক্ষণিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিশদটি প্রকাশ করতে তার বুথ মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে পারে বলে জানা গিয়েছে। মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক এই তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন- এখনই পাল্টে ফেলুন 'WhatsApp'সেটিং, যে কোন মুহূর্তে হ্যাক হতে পারে আপনার ব্যক্তিগত গোপন তথ্য
যদি এই মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করা হয় তবে পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য হবে যেখানে এই অ্যাপ্লিকেশন নির্বাচনী প্রক্রিয়াতে পুরোপুরি ব্যবহৃত হবে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, 'তবে এটি এখনও পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে। এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা আশা করছি এই অ্যাপ, একটি স্বচ্ছ ও সুষ্ঠ নির্বাচন পরিচালনায় সহায়তা করবে। পাশাপাশি এটি লিঙ্গ এবং বয়সভিত্তিক ভোটদান সম্পর্কেও তথ্য দেবে' তিনি আরও জানিয়েছেন, বুথ অ্যাপটি নির্বাচন কমিশন সার্ভারের সঙ্গে সংযুক্ত এবং এনস্ক্রিপ্ট করা পদ্ধতিতে ডেটা প্রদান করতে সক্ষম।
আরও পড়ুন- লঞ্চের আগেই ফাঁস সম্ভাব্য ফিচার, জেনে নিন কি কি ফিচার থাকতে পারে OnePlus 9-এ
নির্বাচনী কর্মকর্তা আরও জানিয়েছে, 'এটি ভোটের গতি এবং নির্বাচন সম্পর্কিত অন্যান্য তথ্যও দিতে পারবে। ভোটার স্লিপে এনকোড করা ছবি ও যে কিউআর কোড রয়েছে, তা ভোটারকে ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের আগে স্ক্যান করতে হবে। ভোট দেওয়ার আগে এই কোডটি দ্বিতীয় বার স্ক্যান করা হবে। ভোট দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তার তথ্য নির্বাচন কমিশনের সার্ভারে যাবে যাতে প্রিজাইডিং অফিসাররা সঠিক সময়ে ভোটের শতাংশ এবং অন্যান্য তথ্য পেতে সক্ষম হন। এটি কেবল নির্বাচন প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করবে না পাশাপাশি এটি সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতেও নিশ্চিত করবে।'
"বুথ অ্যাপটি ভোটদানের সদৃশ সনাক্ত করতে সক্ষম এবং যখন এটি ঘটে তখন এটি নির্বাচন কর্মকর্তাদের তাদের ফোনে বিপ দিয়ে সতর্ক করবে," পাশাপাশি তিনি আরও জানিয়েছেন, এই অ্যাপ্লিকেশনটি ২০১৯ সালের নির্বাচনের সময় উত্তর প্রদেশের পাঁচটি বুথ, মহারাষ্ট্র, বিহার ও পাঞ্জাবের তিনটি বুথ এবং ঝাড়খণ্ডের ১০ টি বুথে পরীক্ষামূলকভাবে ব্যবহৃত হয়েছিল। এটি লক্ষণীয় যে পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪ টি আসনে বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এ বছরের এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।