মাত্র ১ হাজার ভিউয়ার্স থেকে মোটা টাকা আয় করা সম্ভব, জেনে নিন Vlogger-দের মাসে আয় কেমন
ভ্লগিংয়ের মাধ্যমে আয়ের সুযোগ বাড়ছে। অ্যাডসেন্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং, রিভিউ মার্কেটিং, কোলাবোরেট এবং পণ্য বিক্রির মাধ্যমে আয় করা সম্ভব। মাত্র ১ হাজার ভিউজ থেকেই মাসে ৫,৩২০ টাকা থেকে ২২,৪৬৩ টাকা পর্যন্ত আয়ের সম্ভাবনা রয়েছে।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে আয়ের পথ খোঁজ করছেন অনেকেই। রিলস বানিয়ে কিংবা ইউটিউব চ্যানেল খুলে আয় করতে চান অনেকেই। কেউ করেন ফেসবুকে ব্যবসা।
এই সবের মধ্যে ভ্লগিং-র প্রতি মানুষের আগ্রহ বেড়েছে ক্রমশ। বিভিন্ন জিনিস নিয়ে ভ্লগিং করতে দেখা যাচ্ছে।
বর্তমানে ভ্লগারদের সংখ্যাও ক্রমে বাড়ছে। নিত্য দিন কে কী করছে তাই তুলে ধরছে ভ্লগিং করে। এতেই আয় হচ্ছে মোটা টাকা। ফ্যাশন, ফুড, ট্রাভেল থেকে শুরু করে পণ্যের রিভিউ করেও ভ্লগিং ভিডিও তৈরি করছেন অনেকে।
ভ্লগিং-এ যেমন আয় হচ্ছে। তার সঙ্গে মিলছে খ্যাতি। সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে বাড়ছে ভ্লগারদের পরিচিতি।
তবে, এই ভ্লগ করা নিয়ে অনেকের মনেই আছে নানান প্রশ্ন। কীভাবে ভ্লগিং করে আয় হয় তা নিয়ে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। জানেন কি মাত্র ১ হাজার ভিউয়ার্স হলেই শুরু হয়ে যায় আয়।
সাধারণত ভ্লগাররা শুধু মাত্র এডসেন্স কিংবা এরকম কোনও অ্যাড কোম্পানির অ্যাড নিজেদের ওয়েব সাইটে বসিয়ে আয় করে।
কিন্তু একজন দক্ষ ভ্লগার শুধুমাত্র অ্যাড থেকে আয় করে না। তাদের বড় ইনকাম অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে।
তেমনই রিভিউ মার্কেটিং-র দ্বারা আয় হয়। ধরুন কোনও পণ্যের মার্কেটিং করে ব্লগ ভিডিও বানালেন। সেখানে পণ্যের লিঙ্ক দিলেন। সেই লিঙ্ক থেকে কেউ পণ্য কিনলে আপনি ১০ শতাংশ কমিশন পাবেন। তেমনই কোলাবোরেট এবং ভ্লগিং-র মাধ্যমে পণ্য বেচে আয় করতে পারেন।
এখন প্রশ্ন হল মোট কত আয় হয় মাসে। প্রকাশ্যে আসা একটি রিপোর্ট বলছে, আপনি ঠিক ঠাক অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারলে মাসে ১ হাজার ভিজিটর থেকেই ৫০ থেকে ২৫০ ডলার ইনকাম হবে। স্পনসর পোস্টে আয় ১২ ডলার। সব মিলিয়ে মাত্র ১ হাজার ভিউ হলে মোট উপার্জন ৬৩ থেকে ২৬৬ ডলার। অর্থাৎ ৫,৩২০ টাকা থেকে ২২,৪৬৩ টাকা পর্যন্ত আয় হয়।
অর্থাৎ আপনার পোস্ট করা ভিডিও দর্শকদের মনে কাড়লে মাসে ১০ হাজার থেকে ৫০ হাজার পর্যন্ত আয় হয়। কখনও মাসে লক্ষাধিক টাকা আয় হতে পারে। সবই নির্ভর করছে আপনার পোস্ট করা ভিডিওর অর্গানিক ট্রাফিক কত হবে।