গবেষকরা ই-বর্জ্য থেকে মূল্যবাদ ধাতু পুনরুদ্ধার করতে চিজমেকিং প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানেই প্রোটিন স্পঞ্জ ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতেই তাঁরা সোনা উদ্ধার করতে পেরেছেন
প্রায় অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা। ইলেকট্রনিক্স বর্জ্য থেকে সোনা পুনরুদ্ধার করার পথ তৈরি করে দিলেন তাঁরা। এই পদ্ধতিতে মাত্র এক ডলার খরচ করলেই পাওয়া যাবে প্রায় ৫০ ডলারের সোনা। গবেষকরা মাত্র ২০টি পুরনো বা বাতিল হয়ে যাওয়া কম্পিউটারের মাদার বোর্ড থেকে ২২ ক্যারট সোনার ৪৫০ মিলিগ্রাম নাগেট উদ্ধার করতে পেরেছেন। সমীক্ষায় উল্লেখ করা হয়েছে, নাগেটটি ছিল ৯১ শতাংশ সোনার - বাকিটা তামা -২২ ক্যারেটের সোনা পাওয়া গিয়েছে।
গবেষকরা ই-বর্জ্য থেকে মূল্যবাদ ধাতু পুনরুদ্ধার করতে চিজমেকিং প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। সেখানেই প্রোটিন স্পঞ্জ ব্যবহার করেছে। এই পদ্ধতিতেই তাঁরা সোনা উদ্ধার করতে পেরেছেন বলেও দাবি করেছেন। তারা আরও দাবি করেছেন। এই পদ্ধতি অবলম্বন করে একটি টেকসই বাণিজ্যিকভাবে কার্যকর ধাতু উদ্ধার করা যাবে।
গবেষকরা জানিয়েছেন, এই পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, বর্জ্যগুলি সংগ্রহের খরচ, সমগ্র প্রক্রিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়েও যে পরিমাণ সোনা উদ্ধার হবে তা থেকে লাভ করা যাবে প্রায় ৫০ গুণ বেশি অর্থ। সোনা পাওয়ার জন্য বিজ্ঞানীরা উচ্চ তাপমাত্রায় অ্যাসিডিক অবস্থায় হুই প্রোটিনকে বিকৃত করে প্রোটিন স্লারি তৈরি করে যা তারা একটি স্পঞ্জ তৈরি করে তা শুকিয়ে ছিল। তাতেই দেখা গেছে যে পরিমাণ সোনা পাওয়া গেছে তা সোনা পাওয়ার জন্য যা খরচ করা হয়েছে তার থেকে প্রায় ৫০ গুণ বেশি।
গবেষক ইটিএইচ জুরিখের অধ্যাপক রাফায়েল মেজেঙ্গা একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছেন, ‘আমি সবথেকে পছন্দ করি তা হল আমরা ইলেকট্রনিক বর্জ্য থেকে সোনা পাওয়ার জন্য একটি খাজ্য শিল্পের উপজাত ব্যবহার করছি। আর থেকে বেশি টেকসই হতে পারবেন না। ’