বছর ঘুরে 'মা' যে আবার এল ফিরে। আকাশে বাতাসে এখন পুজোর গন্ধ। চারিদিকে সাজো সাজো রব 'মা' আসার খুশিতে। পুজোর আনন্দে মেতেছেন সবাই। ক্লাবের পুজোর পাশাপাশি বনেদী বাড়ির পুজো গুলিও জমে উঠেছে। কলকাতার পাশাপাশি জেলা জুড়েও রয়েছে ছড়িয়ে রয়েছে অসংখ্য বনেদী বাড়ির পুজো।
হুগলীর কোন্নগরের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোটি বহু বছরের পুরনো পুজো। অনেকগুলি প্রজন্ম কাটিয়ে এই পুজো ৩০০ বছরে পর্দাপণ করেছে। প্রথমে এই পুজোটি হত ত্রিপুরাতে, পরে এটি স্হানান্তরিত হয় এন্টালিতে। তবে বর্তমানে এটি হয় কোন্নগরের নবগ্রাম এলাকাতে। আকারে হয়ত খুব একটা বড় নয়, তবে প্রতিমা থেকে শুরু করে, ভোগ সবেতেই রয়েছে বৈচিত্র্য। প্রতিমার রঙ এখানে লাল। শোনা যায় প্রতিমার রঙও এখানে স্বপ্নপ্রদত্ত। একচালা এই প্রতিমাটির কাঠামোটি অপরিবর্তিত। প্রতি বছর এই একই কাঠামোতে পুজো হয়। পুজোর ভোগেও রয়েছে বৈচিত্র্য। খিচুড়ি, ফল ভোগ তো থাকেই, তার পাশাপাশি পুজোর চারদিনই এখানে ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় 'পান্তাভাত'। সেই রীতি আজও অবর্তমান।
পুজোর চারদিন সকলে মিলে এখানে আনন্দে মেতে ওঠে। সুতরাং জেলার বণেদী বাড়ির পুজোর স্বাদ নিতে হলে আপনাকে আসতে হবে কোন্নগরের ভট্টাচার্য বাড়ির পুজোতে।