বাগদাদিকে হত্যা করার বিষয়ে ট্রাম্প একজন অফিসারের সাহসের কথা তোলেন। তিনি বলেন, যখন বাগদাদি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ করার সময় একটা টানেলে চলে যায়। ওই অফিসার নিজের প্রাণের তোয়াক্কা না করে, টানেলের ভিতর বাগদাদিকে তাড়া করে নিয়ে যায়। বাগদাদিকে ধরার আগেই সে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটনায়। সেই সময় মার্কিন বাহিনীর ওই অফিসার আহত হন। ট্রাম্প জানিয়েছেন, সেই অফিসার আর কেউ নন একজন কুকুর। ধীরে ধীরে কুকুরটি সুস্থ হয়ে উঠছে বলে ট্রাম্প এক বিবৃতিতে প্রকাশ করেছে।
এখন বিশ্বের নজরে বাগদাদি নিহত হওয়ার খবরে। ট্রাম্পের বড় ঘোষণার পর মানুষের মনে একের পর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কী করে বাগদাদির খোঁজ পাওয়া গেল সেই নিয়ে মানুষের মনে কৌতুহলের শেষ নেই। যদিও প্রতিটি কৌতুহলের উত্তর মার্কিন প্রশাসন দিয়েছে। তারা জানিয়েছে, কী করে বাগদাদির খোঁজ পেলেন। কী করে অভিযান চালিয়েছে আমেরিকার বিশেষ বাহিনী।
বাগদাদিকে হত্যা করতে কীভাবে অভিযান চালানো হয়েছিল, বর্ণনা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট
মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, হঠাৎ করে বাগদাদির অবস্থানের সন্ধান চালানো হয়নি। আইএসের খিলাফৎ শাসনের অবসানের আগে থেকেই আমেরিকা বাগদাদির অবস্থান জানতে চাইছিল। এই কারণে মার্কিন গুপ্তচর অনেক এজেন্টকেও ঠিক করেছিল। পাকিস্তান ছাড়া বেশিরভাগ এজেন্ট ছিল মধ্যপ্রাচ্যের। জানা গিয়েছে, মসুলের বাগদাদির সহকারীর এক স্ত্রী ও কুরিয়ারের এক ব্যক্তিকে মার্কিন গুপ্তচর সংস্থা পাকড়াও করে। জানা যায়, বাগদাদি ও তাঁর ঘনিষ্টরা মোবাইল বা কম্পিউটার ব্যবহার করত না। বাগদাদি ইরাকের মসুলে যেখানে থাকত, সেখানে এগুলো ব্যবহার করার ওপর কড়া নিষেধাজ্ঞা ছিল। কুরিয়ারের ওই ব্যক্তি খবর আদান প্রদান করতেন। সেই সময় বাগদাদি ইরাকের মসুলে অবস্থান করছিল মসুল থেকে সিরিয়ার যাওয়ার প্ল্যান করছিল।
ইরাকের মসুল থেকে সিরিয়া বাগদাদি মরুভূমির ওপর দিয়ে গিয়েছিল। তার যাত্রাপথের গতি নজরে রাখে সিআইএ। সেখান থেকে আন্দাজ করে কোথায় অবস্থান করতে পারে বাগদাদি। এই বিষয়ে সিআইএকে ইরাক ও সিরিয়ার কুর্দিশ বাহিনী খুব সাহায্য করেছে বলে মার্কিন প্রশাসন জানিয়েছে। তারা দাবি করেছে, সিরিয়ায় কোথায় বাগদাদি অবস্থান করতে পারে, সেই বিষয়ে সব থেকে বেশি খবর সেদেশের কুর্দিশ বাহিনী দিয়েছে।
বাগদাদির পর কে হবে আইএসআইএসের প্রধান, বিশ্ব জুড়ে জল্পনা তুঙ্গে