ভরা বসন্তে মায়ামির সমুদ্রতট সাক্ষী রইল মার্কিন পড়ুয়াদের উদ্দাম পার্টির। করোনার ভয়ঙ্কর সংক্রমণ এড়াতে একে অপরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন। সেখানে পড়ুয়ারা কী করে সমুদ্রতটে মিলিত হল তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই সময়টা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অধিকাংশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ থাকে। যা স্থানীয়দের কাছে স্প্রিং ব্রেক নামেই পরিচিত। প্রতিবছরই এই সময়টা পড়ুয়ারা চলে যায় মায়ামির মনোরম আবহাওয়ায় ছুটি কাটাতে। ভরা রোদ্দুরে রৌদ্রস্নান, বিয়ার হাতে বিচ পার্টি পরিচিত দৃশ্য। সাঁতারুদের টানে মায়ামির সমুদ্রের নীল জল। কিন্তু এবছর করোনার আতঙ্কে স্থানীয়রা ভেবেছিলেন মার্কিন পড়ুয়ারা মুখ ফিরিয়ে নেবেন। কিন্তু পুরো ছবিটাই আদালা। ভিড়ে ঠাসা মায়ামি বিচ। উদ্দাম পার্টি পড়ুয়াদের। উপছে পড়া ভিড় রেস্তোরাঁ, নাইট ক্লাব ও বারগুলিতেও। তিল ধরানোর জায়গা নেই রাস্তাতেও।
কিন্তু কেন পড়ুয়ারা মার্কিন প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা না মেনে পার্টি করার আনন্দে মেতে উঠলেন। তাই নিয়ে রীতিমত শুরু হয়েগেছে জল্পনা। ইতিমধ্যেই মার্কিন পড়ুয়াদের উদ্দামপার্ট খবর পৌঁছে গেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে। মায়ামিতে যাওয়া পড়ুয়াদের রীতিমত তিরস্কার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেছেন মারাত্ম জীবানুতে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি কেন তাঁরা নিয়েছেন? কেনই বা বাকিদের সংক্রমিত করতে বিপদে ঠেলে দিতে চাইছেন? কী করে তাঁরা সমুদ্র আর রেস্তোঁরায় জড়ো হয়েছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুনঃ করোনা আতঙ্কে নিম্নগামী শেয়ার বাজার, বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
আরও পড়ুনঃ করোনাভাইরাস LIVE, বাতিল হল ১৫১টি ট্রেন, রাজ্যে শুরু লকডাউনের ভাবনা
করোনাভাইরাসেরা মারাত্মক প্রভাব পড়েছে মার্কিন মুলুকেও। প্রায় ৫০টি প্রদেশ থেকে পাওয়া গেছে আক্রান্তের সন্ধান। এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১০০ জনের। এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য যে কোনও ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মার্কিন প্রশাসন। নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতে আবেদন জানান হয়েছে প্রত্যেক নাগরিকের কাছে। এই অবস্থায় মায়ামির বিচ পার্টি থেকে সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।