১ হাজারের বেশি অক্ষর, লিখতে গিয়ে ২ ফিট লম্বা হয়েছিল বার্থ সার্টিফিকেট। আমেরিকার টেক্সাসের এই মহিলার নামই 'গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস' (Guinness Book of World Records) অনুসারে 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাম' (World's Longest Name)।
নাম নিয়ে কথা উঠলেই সকলের মনে এসে যায়, ইংরেজ নাট্যকার উইলিয়াম শেক্সপিয়রের (William Shakespeare) সেই অমোঘ উক্তি, 'হোয়াট'স ইন আ নেম' (What's in a name), অর্থাৎ নামে কি আসে যায়? তা সাধারণ মানুষের আসে যায় বইকি। আমাদের কাছে নামই পরিচয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বিশেষ করে, এই 'কাগজ' দেখাবার সময়ে। অনেক, অভিভাবক সন্তানদের উদ্ভট নাম দিয়ে থাকেন, যা অপছন্দের হলেও অন্তত ছাত্রজীবনে বহন করতেই হয়। তবে, আমেরিকার টেক্সাস (Texus) প্রদেশে এক বাবা-মা তাঁদের সন্তানের এমন এক নাম রেখেছিলেন, যা তাঁদের মেয়েকে মুখস্ত করতে রীতিমতো কষ্ট করতে হয়েছিল। আর মার্কিন প্রদেশটিতে নামকরণ নিয়ে একটি আইন জারি করতে হয়েছিল। আসুন জেনে নেওয়া যাক এই অদ্ভূত নামকরণের কাহিনি।
১৯৮৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর স্যান্ড্রা উইলিয়ামস এবং তাঁর স্বামীর এক শিশুকন্যা জন্ম নিয়েছিল। আগে থেকেই তাঁরা ঠিক করেছিলেন তাঁদের মেয়ের একটি অপ্রচলিত নাম রাখবেন, যা বিশ্বের দীর্ঘতম নাম হিসাবে রেকর্ড করবে। মেয়ের জন্মের পর, সেই পরিকল্পনা অনুযায়ীই চলেছিলেন তাঁরা। জন্ম শংসাপত্রে (Birth Certificate) লেখা ছিল তাঁদের মেয়ের নাম, রোশান্ডিয়াটেলিনেশিয়াউন্নেভেশেঙ্ক কোয়ানিস্কোয়াটসিউথ উইলিয়ামস। কী মনে হচ্ছে, নামটা খুব বড়? আমার-আপনার নামটা বড় মনে হতে পারে, কিন্তু, এই নামের মালিকের বাবা-মা এতেও সন্তুষ্ট হননি। ফলে, সপ্তাহ তিনেক পরে, তাঁরা, তাঁদের মেয়ের জন্মের সংশাপত্রে নাম বদলের জন্য একটি সংশোধনী দাখিল করেছিলেন।
কত বড় ছিল সেই সংশোধিত নাম? টেক্সাসের এই দম্পতির মেয়ের নতুন নামে ইংরাজি ভাষায় ১,০১৯ টি অক্ষর রয়েছে! হ্যাঁ বিস্ময়কর হলেও এটাই সত্যি। এখানেই শেষ নয়, এর সঙ্গে ৩৬ অক্ষর বিশিষ্ট একটি মিডল নেম-ও যোগ করা হয়েছিল। ফলে তার নামটা এতটাই বড় হয়ে দাঁড়ায় যে নতুন নাম দিয়ে নতুন করে তৈরি করা জন্মের শংসাপত্রটির দৈর্ঘ দাঁড়ায় ২ ফুট! আর তার বাবা-মায়ের স্বপ্নও সফল হয়েছে। তাঁদের মেয়ের নামই 'বিশ্বের সবচেয়ে বড় নাম' (The longest name to appear on a birth certificate) হিসাবে 'গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে' (Guinness Book of World Records) জায়গা করে নিয়েছে। কী নাম তাঁর? বাংলায় লেখার উপায় নেই। ইংরাজি হরফেই রইল, আপনারা পড়তে পারলে পড়ে নিন।
Rhoshandiatellyneshiaunneveshenkescianneshaimondrischlyndasaccarnaerenquellenendrasamecashaunettethalemeicoleshiwhalhinive'onchellecaundenesheaalausondrilynnejeanetrimyranaekuesaundrilynnezekeriakenvaunetradevonneyavondalatarneskcaevontaepreonkeinesceellaviavelzadawnefriendsettajessicannelesciajoyvaelloydietteyvettesparklenesceaundrieaquenttaekatilyaevea'shauwneoraliaevaekizzieshiyjuanewandalecciannereneitheliapreciousnesceverroneccaloveliatyronevekacarrionnehenriettaescecleonpatrarutheliacharsalynnmeokcamonaeloiesalynnecsiannemerciadellesciaustillaparissalondonveshadenequamonecaalexetiozetiaquaniaenglaundneshiafrancethosharomeshaunnehawaineakowethauandavernellchishankcarlinaaddoneillesciachristondrafawndrealaotrelleoctavionnemiariasarahtashabnequckagailenaxeteshiataharadaponsadeloriakoentescacraigneckadellanierstellavonnemyiatangoneshiadianacorvettinagodtawndrashirlenescekilokoneyasharrontannamyantoniaaquinettesequioadaurilessiaquatandamerceddiamaebellecescajamesauwnneltomecapolotyoajohnyaetheodoradilcyana
অবশ্যই এই নামটি ধরে তাকে কেউ ডাকে না। বন্ধুবান্ধব এবং পরিবারের সদস্যের কাথে সে পরিচিত জেমি বলে। সে নিজেই তাঁর জন্মনাম (Birth Name) মনে রাখতে পারত না। দ্য মিররের প্রতিবেদন অনুসারে, একটি টেপে সে নিজের নাম রেকর্ড করেছিল। তারপর সেটা বারবার বাজিয়ে বাজিয়ে নিজের জন্মনাম মুখস্থ করেছিল জেমি। আর জেমির নামকরণের পরই টেক্সাস প্রদেশে নামকরণ নিয়ে একটি বিশেষ আইন পাস করা হয়েছিল। সেই আইনে বলা হয়েছিল, শিশুদের 'নাম' এমনভাবে রাখতে হবে, যাতে তা জন্মের শংসাপত্রের ফর্মে দেওয়া বাক্সের নির্ধারিত জায়গায় লেখা যায়।