ভারতীয় সময় বুধবার রাত থেকে শুরু হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোট গণনা। প্রথম দিকে এগিয়ে ছিলেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। কিন্তু এখনও পর্যন্ত হোয়াইট হাউস দখলের যুদ্ধে ট্রাম্পকে পিছনে ফেলে দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। ইলেক্ট্রোরাল ভোটের সংখ্যা ইঙ্গিত দিচ্ছে তিনিই আগামী দিনের মিস্টার প্রেসিডেন্ট। কিন্তু ভারতীয় সময় চার দিন পরেও তাতে শিলমহর পড়েনি। কিন্তু কেন এত দেরি হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ফল প্রকাশে?
জনপ্রিয়তার ভোটে জিতেই মার্কিন রাষ্ট্রপতি হওয়ায় যায় না। হোয়াইট হাউসের দখল নিতে প্রয়োজন ২৭০টি ইলেক্ট্রোলার ভোট। আর তা সংগ্রহ করা হয় প্রতিটি রাজ্যের বিজয়ী নির্বাচনী কলেজ ভোট থেকে। ইলেক্ট্রোলার ভোটের একটি নির্ভুল ট্যালি তৈরি করা হয়। অন্যান্য সময় মধ্য রাতেই তা জানা যায়। কিন্তু এবছর তা হচ্ছে না।
চলতি বছর মূলত মহামারির আবহে ভোট হচ্ছে। সংক্রমণ রুখতে বিপুল সংখ্যক ভোটার চলতি বছর আগাম ভোট দিয়েছেন। ৬৮ শতাংশ ভোটারই পোস্টাল ব্যাটল বা মেইল করে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছেন। যা ২০১৬ সালের তুলনায় ৩৪ শতাংশ বেশি। আর গণনার নিয়ম অনুযায়ী আগাম দেওয়া ভোটারদের স্বাক্ষর, ঠিকানা সবই যাঁচাই করতে হয়। বেশ কয়েকটি প্রদেশে এই প্রক্রিয়া অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। যা নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে আনেকটাই মসৃণ করে দিয়েছে। কিন্তু রিপাব্লিকানদের দখলে থাকা প্রদেশগুলি ভোট গণনা নিয়ে নতুন আইন পাশ করতে প্রত্যাখান করে। আর সেই কারণেই পেনসিলভেনিয়াসহ বেশ কয়েকটি বড় প্রদেশে ভোটের ফল প্রকাশে দেরি।
যেসমস্ত রাজ্যে অর্ধকের বেশি ভোটার পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন সেইসব রাজ্যে ডাক বিলম্বের কারণে গণনাতে দেরি হচ্ছে। পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হচ্ছে কোনও ভোটারের ভোট যাতে দুবার গণনা না করা হয়। চলতি বছর অর্ধেকেরও বেশি মানুষ পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিয়েছেন।
আলাস্কায় এই প্রদেশে জয়ের কাছাকাছি রয়েছে রিপাব্লিকানরা। জর্জিয়ায় রিকাউন্ট চলছে। প্রায় ৯৯ শতাংশ ভোটে এগিয়ে রয়েছেন বিডেন। নোভাডায় ডেমোক্র্যাটিকরা এগিয়ে থাকলেও পোস্টাল ব্যালটই ভাগ্য নির্ধারণ করবে ট্রাম্পের। ১০ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া পোস্টাল ব্যাটল গণনা করা হবে। নর্থ ক্যারোলিনায় ট্রাম্পই হট ফেভারিট। কিন্তু এই প্রদেশও ১২ নভেম্বর পর্যন্ত পোস্টাল ব্যালট গ্রহণ করবে।বিডেন এখনও পর্যন্ত পেনসিলভেনিয়ায় এগিয়ে রয়েছেন। পোস্টাল ব্যালট গণনাতেও এগিয়ে রয়েছেন তিনি। শনিবারের মধ্যে সেখানে ভোট গণনার কাজ শেষ হবে বলেই আশা করা হচ্ছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভোটের সম্পূর্ণ চিত্র পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।