গালওয়ান নিয়ে ফের বাড়ছে ভারত-চিন উত্তেজনা, যুদ্ধের ইজ্ঞিত দিয়ে এবার এশিয়ামুখী মার্কিন সেনা

  • গালওয়ান নিয়ে উত্তেজনা কিছুতেই কমছে না
  • কূটনৈতিক বৈঠকের পরেও সুর চড়াচ্ছে ভারত-চিন
  • ক্রমেই দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তৈরি হচ্ছ যুদ্ধের আবহ
  • চিনা আগ্রাসন মোকাবিলায় এবার সেনা পাঠাচ্ছে আমেরিকা

গত ১৫ জুন গালওয়ান উপত্যকায় দুই দেশের মধ্যে সেনা সংঘর্ষের পর একাধিকবার বৈঠক হলেও পরিস্থিতি কিছুতেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। বরং ভারত ও চিনের মধ্যে কূটনৈতিক বৈঠকের সুর যথেষ্ট চড়া ছিল বলেই সূত্রের খবর। ফলে আপাতত প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে চিনা সেনা সাময়িক ভাবে পিছু হটলেও লালা ফৌজের লালসা থেকে গালওয়ান উপত্যকাকে পুরোপুরি মুক্ত করতে ভারতকে দীর্ঘ লড়াই চালাতে হবে তা স্পষ্ট।

আরও পড়ুন: দক্ষিণ চিন সাগরেও কর্তৃত্ব ফলাচ্ছে চিন, বেজিংয়ের আধিপত্যের বিরুদ্ধে ফুসছে ভিয়েতনামও

Latest Videos

গালওয়ানে হামলার পর ভারত বরাবরই অভিযোগ করে এসেছে, প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার স্থিতাবস্থা এবং সীমান্ত চুক্তি ভেঙেছে চিন। মে মাসেই শুরুতেই  সেখানে বিপুল সেনার সমাবেশ ঘটিয়েছে বেজিং। এদিকে ভারতের চিনা রাষ্ট্রদূত কূটনৈতিক বৈঠকের পর সুর চড়িয়ে জানিয়েছে, ১৫ জুনের ঘটনার দায় তাঁদের নয়। বরং যে পদক্ষেপ করতে তা দ্বিপাক্ষিক চুক্তির সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়।

ভারত ও চিনের মধ্যে ক্রমেই বেড়ে চলা সীমান্ত উত্তেজনা নিয়ে এদিকে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলি। ইতিমধ্যে জাপান নিজেদের মিসাইলের মুখ চিনের দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় চিনের এই আগ্রাসনের দিকে কড়া নজর রাখছে আমেরিকাও। চিনের মোকাবিলায় মার্কিন সেনাও প্রস্তুত বলে ইজ্ঞিত দিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও।

আরও পড়ুন: কূটনৈতিক বৈঠকের পিছে চলছে সমরসজ্জাও, অরুণচল-সিকিম আর উত্তরাখণ্ড সীমান্তে সেনা বাড়াচ্ছে চিন

আমেরিকা যে তলে তলে চিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ প্রস্তুতি শুরু করেছে তা ব্রাসেলস ফোরামের ভার্চুয়াল সম্মেলনে স্পষ্ট করে দিয়েছেন মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেও। তিনি বলেন, ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ায় চিনের দাদাগিরির কারণেই ইউরোপ থেকে মার্কনি সেনার সংখ্যা কমানো হচ্ছে।

চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সমালোচনাও শোনা গিয়েছে মার্কিন বিদেশ সচিবের কন্ঠে। তিনি বলেন, চিন ক্রমেই দক্ষিণ এশিয়ায় একটি 'আতঙ্ক' হয়ে উঠছে। ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া, ভারত,, ইন্দোনেশিয়ার কাছে চিন 'থ্রেট' হয়ে যাচ্ছে বলে ব্যাখ্যা করেন মার্কিন সচিব। যার ফলে এই দেশগুলি বহু চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে ।

 

 

দক্ষিণ চিন সাগরে চিনের দাদাগিরি আমেরিকা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না। তার জেরেই মার্কিন মুলুক থেকে এই হুমকি  তা পম্পেওর কথাতে স্পষ্ট। মার্কিন সচিব ব্রাসেলস ফোরামে সাফ ভাষায় জানিয়ে দেন,  ইওরোপ থেকে মার্কিন সেনা কমিয়ে তা মোতায়েন করার ভাবনা চলছে এশিয়ায়। চিনতে রুখতে যে তলে তলে আমেরিকা কোমর বাঁধতে শুরু করেছে, তা পম্পেওর কথাতেই স্পষ্ট ।

চিন ছাড়াও রাশিয়ার আরেক মাথা ব্যথা রাশিয়া। আর সেই কারণেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে রাশিয়ার ওপর নজরদারি করতে সেনা পাঠিয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসন। এবর সেই সেনাই আমেরিকা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ায় মোতায়েন করতে চায় চিনকে শায়েস্তা করতে। 

Share this article
click me!

Latest Videos

'মোদী বাংলার কৃষকদের একটা পয়সাও দেয় না' বিতর্কিত মন্তব্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee)
‘অনেকদিন পর কেষ্টদা ফিরেছে তাই একটু বিশৃঙ্খলা হচ্ছে’ অদ্ভুত ব্যাখ্যা Satabdi-র! | Satabdi Roy News
‘এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে TMC টাকা তুলছে না’ Mamata-কে চরম তুলোধোনা Suvendu-র
হঠাৎ করে TMC নেতারা পুলিশের বিরুদ্ধে কেন? কী উদ্দেশ্যে? প্রশ্ন অগ্নিমিত্রার | Agnimitra Paul
Naihati-তে কার পাল্লা ভারী? ফল ঘোষণার আগে উত্তেজনা তুঙ্গে গোটা এলাকায় | Naihati By Election Results