আর মাত্র কিছু সময়ের অপেক্ষা, তারপরেই বড়দিন। আর এই বড়দিন কেক ছাড়া একেবারেই অস্পূর্ণ। বড়দিনের আগে তাই বেকারিগুলিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। এমনই ছবি ধরা পড়ল পুরুলিয়ার এক বেকারিতে।
রাত পোহালেই ২৫সে ডিসেম্বর অর্থাৎ বড়দিন। আর বড়দিন মানেই কেকের চাহিদা থাকে তুঙ্গে। করোনার কারণে গত বছর কেকের বাজার মন্দা থাকলেও এবার বাজার বেশ ভালো।একদিকে কনকনে শীতের কামড় অন্যদিকে বড়দিন উপলক্ষে কেকের ব্যাপক চাহিদার কথা মাথায় রেখে রাজ্যের প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ার বেকারি গুলিতে শেষ মুহূর্তের কেক তৈরিতে ব্যস্ততা তুঙ্গে। কেক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত একাংশের মতে, গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছুটা হলেও আশার আলো দেখছেন তারা। বেড়েছে অর্ডার।প্রান্তিক জেলা পুরুলিয়ায় বহুজাতিক সংস্থার তুলনায় বড় দিনে স্থানীয় বেকারির তৈরি কেকের চাহিদা বেশি। কারণ বহুজাতিক সংস্থার কেকের থেকে তুলনায় দাম অনেকটাই কম পুরুলিয়ার স্থানীয় বেকারির তৈরি কেকের। ফলে সর্ব স্তরের মানুষের হাতের নাগালে থাকে এই কেক। আর তাই বেশ জমে ওঠে বড়দিন। ইতিমধ্যেই হরেক রকম কেক বানাতে দিন রাত এক করছেন বেকারির কর্মীরা। করোনা আবহে বেকারি শিল্পেও যথেষ্ট প্রভাব পড়েছে।তবুও ২০২১এ বড়দিন উপলক্ষে রকমারি কেক পেস্ট্রি প্রস্তুত করে আশায় বুক বাঁধছে পুরুলিয়ার বেকারিগুলি।টানা লক ডাউন। রুজি রুটিতে পড়েছে টান।ফলে, পুরুলিয়া জেলার সাধারণ মানুষের আর্থিক স্বচ্ছলতা নেই। তবু সব জেনেও, খানিকটা ঝুঁকি নিয়েই বড় দিন উৎসবের আমেজ ধরে রাখতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বেকারিগুলি। পুরুলিয়ার শহরের তেলকল পাড়ায় অবস্থিত একটি নামকরা বেকারিতে দেখা গেল প্রায় ষাট জন কর্মী ও মিস্ত্রী রকমারি কেক তৈরিতে ব্যস্ত। যার মধ্যে নজর কেড়েছে ফ্রুট কেক,পেস্ট্রির মধ্যে সুইস রোল, ম্যাঙ্গো রোল, হোয়াইট রোল, চকোলেট রোল প্রভৃতি। বেকারির কর্ণধার রামনাথ দত্ত বললেন, 'এই শিল্পে কাঁচা মালের দাম প্রতি বছরের মতো এবারেও বেড়েছে।বেড়েছে মজুরির হার এবং অন্যান্য খরচ। তবুও লাভের অংশ কম করে বড়দিনের উপহার হিসেবে জেলার প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে কেকের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের কথায়,গুনমান ও স্বাদে এই কেক কোনও অংশেই কম যায়না তথাকথিত নামি দামী ব্র্যান্ডগুলির থেকে। তাহলে কি এবারের বড়দিন রঙিন হতে চলেছে পুরুলিয়াবাসীর কাছে? অন্তত, নানান ফ্লেভারের কেক পেস্ট্রির ছবি তো তেমনই বলছে।