১৮৭০ সালে হাওড়ার শিবপুর ওলাবিবিতলায় হাজারহাত কালীমন্দিরের সূচনা হয়। সেই থেকে আজও চলে আসছে এই পুজো। সেখানকারই মুখোপাধ্যায় বাড়ির ছেলে তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায় মা চন্ডীর সপ্নাদেশ পান। শোনা যায়, মন্দির তৈরির সাধ থাকলেও সামর্থ ছিল না তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের। সেসময়ে মন্দির নির্মাণে এগিয়ে আসেন স্থানীয় হালদার পরিবার। সেই সঙ্গেই এগিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাও। বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় হাজারহাত কালীমন্দির। তবে সেখানে কোনও দিনই বলি প্রথা ছিল না। সেই সময় থেকে শুরু হয় এই পুজো যা আজও চলে আসছে। কথিত আছে সেখানকার মায়ের হাজার হাত নাকি গোণা যায়না। এখানকার দেবী নীলবর্ণা। বাহন সিংহের উপরে থাকে মায়ের ডান পা। এখানে দেবীর পুজো হয় তন্ত্রমতে। তবে করোনার কারণে দীর্ঘ ছয় মাস যাবত বন্ধ ছিল মন্দির। প্রতিবছর কালীপুজোর আগে মায়ের মূর্তিতে নতুন রং করা হয় যা এবছর করা সম্ভব হয়নি । তবুও কালীপুজোর দিন বিশেষ পুজো উপলক্ষে মানুষ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে সেখানে। সেই সঙ্গেই গোটা মন্দির সেনিটাইজেশন করা হচ্ছে সেখানে।