দুই দেশের সীমান্তে সেনাদের মিত্রতা অটুট রাখতে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে পালিত হল দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসঅফ এবং বিজিবির যৌথ উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান করা হয়।
দুই দেশের সীমান্তে সেনাদের মিত্রতা অটুট রাখতে ইন্দো-বাংলা সীমান্তের চেকপোস্টের জিরো পয়েন্টে পালিত হল দুই দেশের যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। মঙ্গলবার শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসঅফ এবং বিজিবির যৌথ উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান করা হয়। দেশ ভাগের পর থেকেই দুই বাংলার সম্পর্ক বরাবরই মধুর। সে ভাষা হোক বা শিক্ষা, সংস্কৃতি, বা খাওয়া দাওয়া! সব দিক থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক খুবই ভালো। রাজনৈতিক, কুটনৈতিক দিকেও দুই দেশের সম্পর্ক ভালো। এবছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষ। সেই বর্ষপুর্তিকে উপলক্ষ করে ও দুই দেশের মৈত্রিত্বকে অটুট রাখতে এই অনুষ্টানের আয়োজন করা হয়। এদিন ইন্দো-বাংলা ফুলবাড়ি সীমান্তের ওই জিরো পয়েন্টে বিএসঅফ এবং বিজিবির তরফে আধিকারিক পর্যায়ে মিষ্টি ও পুস্পস্তবক দিয়ে সুভেচ্ছা বিনিময়ের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনাও দেওয়া হয়। বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধারা বলেন, বাংলাদেশকে স্বাধীনতার জন্য অসংখ্য বিএসএফ জওয়ান শহীদ হয়েছেন। ভারত সরকার সহযোগিতা না করলে বাংলাদেশ হয়তো এখনও স্বাধীন হতে পারতো না। স্বাধীনতার জন্য দুই দেশের মানুষের যে আত্মবলিদান সেই ইতিহাস নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে এদিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বিএসএফের নর্থ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের আইজি রবি গান্ধী বলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সব সম্পর্কই ভালো। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মূল লড়াই হয়েছিল ৩ ডিসেম্বর থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। সেই যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছিলেন সুবর্ণ জয়ন্তী বর্ষে তাদেরকে স্মরণ করতে যৌথ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।