দেশের হিরো এখন কলকাতায় মেয়ে মহাশ্বেতা চক্রবর্তী। ইউক্রেনে আটকে থাকা ৮০০ ভারতীয় পড়ুয়াকে উদ্ধার করেছে সে। বিমান চালিয়ে ইউক্রেনের সীমান্ত দেশ থেকে উদ্ধার করেছে সে। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ পর্যন্ত এই উদ্ধার অভিযানে ছিল মহাশ্বেতা। কলকাতার নিউটাউনে বাড়ি মহাশ্বেতা চক্রবর্তী।
বিমান নিয়ে ইউক্রেনে আটকে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার। কলকাতার মেয়ের কীর্তিতে গর্বিত দেশ। কলকাতার মেয়ে মহাশ্বেতা চক্রবর্তী অংশ নিলেন উদ্ধার অভিযানে। ইউক্রেনে আটকদের উদ্ধার করতে অপারেশন গঙ্গার সদস্য মহাশ্বেতা। ৮০০ ছেলে-মেয়েকে বিমানে করে ভারতে নিয়ে এসেছেন মহাশ্বেতারা। ইউক্রেনের ওয়ার জোনে আটকে থাকা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ধার। কীভাবে পায়ে হেঁটে ছেলে-মেয়েরা পৌঁছেছেন নিরাপদ আশ্রয়ে। এশিয়ানেট নিউজ বাংলার সঙ্গে ভাগ করে নিলেন সেই কাহিনি। মাত্র ২ ঘণ্টার নোটিসে রাতের অন্ধকারে ইস্তান্বুল পাড়ি মহাশ্বেতার। এরপর সেখান থেকে তাঁরা বিমান নিয়ে পৌঁছন পোল্যান্ডে। সেখান থেকে ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে ইস্তান্বুল হয়ে দিল্লি নিয়ে আসেন। ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৭ মার্চ মোট ৬টি উড়ানের পাইলট ছিলেন মহাশ্বেতা। ৪টি উড়ান তিনি করেছেন পোল্যান্ডে ২টি হাঙ্গেরিতে। যুদ্ধে মানুষের অসহায়তা, তাদের আতঙ্ক কোনওভাবে ভুলতে পারছেন না। অপারেশন গঙ্গার আগে মহাশ্বেতার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অভিযান ছিল কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিন প্লেনে করে শহরে শহরে পৌঁছে দেওয়া। এই কাজ তাকে করতে হয়েছিল যখন সবে টীকাকরণ কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে সেই সময়ে। বন্দে ভারত অভিযানের অধীনে তার সেই উড়ান নিয়ে যাতায়াত করাটাও একটা অসামান্য অভিজ্ঞতা বলে জানিয়েছেন মহাশ্বেতা। মহাশ্বেতার মতে ইউক্রেন উদ্ধার অভিযানে যে ছাত্র-ছাত্রীদের তিনি উদ্ধার করেছেন তারা হল আসল হিরো। কারণ, যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে থেকে যেভাবে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে এবং অভুক্ত হয়ে মাইলের মাইল হয় ট্রেনে না হয় গাড়ি অথবা পায়ে হেঁটে পোল্যান্ড-হাঙ্গেরিতে পৌঁছেছিলেন তার জন্য বিশাল সাহসীকতা লাগে বলে মনে করেন তিনি।