প্রয়াত ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। ২০ দিনের টানা লড়াইয়ের অবসান হল সোমবার বিকেল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ। তাঁর পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় তাঁর মৃত্যু সংবাদ প্রকাশ্যে আনেন। তার পর তাঁর মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। তাঁর মৃত্যতে শোকস্তব্ধ রাজনৈতিক মহল। রাজনীতির এই উজ্জ্বল নক্ষত্র বীরভূম জেলার মিরাটি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কামদাকিঙ্কর মুখোপাধ্যায় ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রমী। প্রণব মুখোপাধ্যায় সিউড়ির বিদ্যাসাগর কলেজে পড়াশোনা করেন। ১৯৬৯ সালে ইন্দিরা গান্ধীর হাত মাথার উপরে। সেই বছরই রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ হিসাবে নির্বাচিত। ইন্দিরা গান্ধীর এক্কেবারে ডানহাতে পরিণত হয়েছিলেন তিনি। ১৯৭৩ সালে ইন্দিরা-র মন্ত্রিসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন। ইন্দিরা-র মদতে সমস্ত মন্ত্রকে একচ্ছত্র আধিপত্য চলত তাঁর। ইন্দিরা প্রয়াণে-র পর রাজীব জামানায় কোণঠাসা অবস্থা হয় তাঁর। দলত্যাগ করে তৈরি করেন রাষ্ট্রীয় সমাজবাদী কংগ্রেস। ১৯৮৯ সালে রাজীবের সঙ্গে বিরোধ মিটিয়ে কংগ্রেসে ফেরেন। ১৯৮০ থেকে ৮৫ সাল পর্যন্ত রাজ্যসভার প্রধান বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০০৪ সালে ইউপিএ সরকার গঠনের মূল কাণ্ডারি ছিলেন তিনি। তাঁর প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে এই সময় বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। শেষমেশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে ইউপিএ ১ সরকারে স্থান দেওয়া হয়। বিদেশমন্ত্রী হিসাবে ইন্দো-আমেরিকা পরমাণু চুক্তিকে রূপায়িত করেন। ইউপিএ ২ সরকারে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর রাজনৈতিক জীবনকে বিদায় জানিয়ে ২০১২ সালে রাষ্ট্রপতি হন। সেই সঙ্গে দেশ পায় প্রথম এক বাঙালি রাষ্ট্রপতি।