ছাত্রদের ঠান্ডা করতে গিয়ে নিজেই শেষ পর্যন্ত মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নরমে গরমে ছাত্রদের তিনি বুঝিয়ে দিলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে তিনি তাঁদের পাশেই আছেন। কিন্তু হিংসাত্মক আন্দোলন হলে তিনি কিছুতেই তা বরদাস্ত করবেন না। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কলকাতা সফর এবং তাঁর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের প্রতিবাদে দিল্লির পুনরাবৃত্তি কলকাতায়। ছাত্র বিক্ষোভে কার্যত অবরূদ্ধ হয়ে রয়েছে শহরের প্রাণকেন্দ্র ধর্মতলা। গভীর রাত পর্যন্ত কয়েক হাজার ছাত্র অবরূদ্ধ করে রেখেছে গোটা ধর্মতলা চত্বর। সেখানে আগে থেকেই এনআরসি এবং নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের ধরনা চলছিল। বিশ্ববিদ্যালয় এবং কলেজের পড়ুয়ারা সেই ধরনা মঞ্চের দিকে এগিয়ে যেতেই উত্তেজনা বাড়ে। পুলিশ ব্যারিকেড গড়লে তা ভেঙে এগিয়ে যায় ছাত্ররা।
ছাত্রদের বোঝাতে সেখানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রথমে ছাত্রদের শান্ত হওয়ার জন্য বোঝানোর চেষ্টা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু ছাত্ররা মোদী- মমতা বৈঠক নিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত বলেন, দিল্লি পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখাতে হলে সেখানে গিয়ে দেখান। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা আরও বলেন, 'একটা দল কাল থেকে এখানে প্রতিবাদ করছে। সেখানে এসে কি হামলা চালানোর চেষ্টা করা উচিত?' মুখ্যমন্ত্রী বারবারই ছাত্রদের বোঝান, রাজ্যের আর্থিক দাবি আদায় এবং সাংবিধানিক বাধ্যবাধ্যকতা থেকেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীকে যে তিনি এনআরসি, এনপিআর এবং নাগরিকত্ব আইন নিয়েও প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন, তাও বলেন মমতা। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর কথায় চিড়ে ভেজেনি। বিক্ষোভকারী ছাত্রদের ইঙ্গিত, তাঁরা সারারাত বিক্ষোভ দেখাবেন।