কমনওয়েলথ গেমসে রূপোর পদক জয়ের পর সাক্ষাৎকার। এশিয়ানেট নিউজের মুখোমুখি জেরেমি লালরিননুঙ্গা। মাত্র ১৯ বছর বয়সেই কমনওয়েলথ গেমসে পদক জয় জেরেমির। ভরোত্তোলনের ৬৭ কিলো বিভাগে রূপো জিতেছেন জেরেমির। আর্মি স্পোর্টস ইনস্টিটিউটে ট্রেনিং করেন জেরেমি। জেরেমি-র আদর্শ মীরাবাঈ চানু, তাঁর কাছ থেকে মিলেছে টিপস।
কমনওয়েলথ গেমসের আগে সোনার পদকের ছবি টাঙিয়ে রেখেছিলেন জেরেমি লালরিননুঙ্গা। ওই সোনার পদকের ছবি দেখেই নিজেকে উদ্বুদ্ধ করতেন তিনি। অলিম্পিকের মঞ্চে ভরোত্তোলনে সোনা জয় এখন লক্ষ জেরেমি-র। কমনওয়েলথ গেমসের জন্য জুনিয়র ক্যাটিগরি থেকে সিনিয়র ক্যাটিগরি-তে। জুনিয়র ক্যাটিগরি থেকে সিনিয়র ক্যাটিগরিতে আসাটা সহজ ছিল না- জেরেমি। সিনিয়রদের সঙ্গে লড়াই করার জন্য কঠোর ট্রেনিং করতে হয়েছে জেরেমিকে। কমনওয়েলথ গেমস থেকে অনেক কিছু শিখেছেন বলে জানিয়েছেন জেরেমি। কমনওয়েলথ গেমসে রূপোর পদক জয়ের পর এশিয়ানেট নিউজের মুখোমুখি হয়েছিলেন জেরেমি লালরিননুঙ্গা। সেখানেই তিনি জানান তাঁর ট্রেনিং থেকে শুরু করে দেশপ্রেমের কথা এবং কীভাবে অলিম্পিকের জন্য প্রস্তুতি নিতে চলেছেন সেই কথা। কমনওয়েলথ গেমসে ৬৭ কিলো বিভাগে সোনা জয় করেছেন জেরেমি। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে প্রবল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। মিজোরমের ছেলে জেরেমি। বর্তমানে সেনাবাহিনীর স্পোর্টস ইনস্টিটিউটের অধীনে ট্রেনিং করেন তিনি। সেখান থেকেই কমনওয়েলথ গেমসে গিয়েছিলেন তিনি। জেরেমি-কে প্রশ্ন করা হয়েছিল যে পদক গ্রহণের সময় দেশের পতাকার সামনে তিনি স্যালুট করছিলেন, এটা কি তাঁকে বাড়তি অনুপ্রেরণা দেয়? উত্তরে জেরেমি জানিয়েছেন, জাতীয় পতাকা দেখলেই তাঁর হাত নিজে থেকেই উপরে উঠে যায় স্যালুট করতে। কারণ তিনি ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতিনিধিত্ব করেন। আর সেনাবাহিনীর লোকেদের জাতীয় পতাকার প্রতি সন্মান তাঁদেরকে স্যালুটের জন্য কোনও স্থান-কাল পাত্র নির্বাচন করতে বলে না। জাতীয় পতাকা দেখলেই হাত নিজে থেকেই উপরে উঠে যায়। সামনেই দেশের ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। এই মুহূর্তে দেশ জুড়ে হর ঘর তিরাঙ্গা প্রচরাভিযান চলছে। জেরেমি এমন এক কথা স্বাভাবিকভাবেই দেশবাসীর মন কেড়ে নিতে বাধ্য।