মহাসঙ্কটে আত্রেয়ী নদী। জলের অভাবে ক্রমশই শুকিয়ে যাচ্ছে নদী। এর ফলে কমছে নদীর নাব্যতা। সেইসঙ্গে হারিয়ে যাচ্ছে অসংখ্য প্রজাতির মাছ। এমনকী, বর্ষাকালে নদীর গর্ভের কম নাব্যতায় বাড়ছে ভাঙনের প্রবণতা।
বালুরঘাটের পরিচয় বলতে দুটি একটি ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ট্যাঙ্ক, আর একটি আত্রেয়ী নদী। বলতে গেলে বালুরঘাটের ঐতিহ্য এবং গৌরবের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এই আত্রেয়ী। কারণ, আজ বালুরঘাটের শহরের যে মূল কেন্দ্র এবং ব্যপ্তি- তা সবই ওই আত্রেয়ীর নদীর বুকে পড়ে যাওয়া বালুর চর থেকে। বালুরঘাট নামের পিছনেও রয়েছে আত্রেয়ীর অবদান। কোনও এক সময়ে আত্রেয়ী নদী ছিল শহরের মধ্যে দিয়ে। কিন্তু সে সব কয়েক শ-বছর আগের কথা। কথিত রয়েছে বালুরঘাট শহরের মধ্যে খাড়ি বলে যে এলাকাটি একটা সময়ে চিহ্নিত ছিল- সেটাই নাকি ছিল আত্রেয়ী নদীর মূল খাত। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নদী সরতে সরতে শহরের একপাশে চলে গিয়েছে। গত একশ বছর সেই নদীখাত দিয়েই বইছে আত্রেয়ী। কিন্তু, জলে টইটুম্বর যে নদী-কে চোখ জুড়িয়ে যেত বালুরঘাটবাসীর সেই নদী গর্ভে এখন জলের অভাব। কারণ, বাংলাদেশ থেকে এসে ভারতীয় ভুখণ্ডে প্রবেশ করার পর আর জল পাচ্ছে না আত্রেয়ী। বাংলাদেশ সরকার তাদের অংশে আত্রেয়ী নদী-র উপরে বাঁধ দিয়ে দিয়েছে। যার প্রভাবে কমছে ভারতের অংশে থাকা আত্রেয়ীর নাব্যতা। যার প্রভাব পড়ছে এলাকার পরিবেশের উপরেও। এমনকী, জলের অবাবে আত্রেয়ীর বুকে হয়ে চলা দূষণের প্রকোপ আরও বেড়ে গিয়েছে।