৩ অগাস্টও দিনভর উত্তাপ ছড়াল পার্থ ও অর্পিতাকে ঘিরে। জোকার ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পথেও উত্তেজনা। টাকা কার?কার ষড়যন্ত্র?- পার্থ-অর্পিতাকে ধাওয়া করে গেল প্রশ্ন। ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পথে মুখ খোলেননি পার্থ। মুখে লাগানো মাস্কের নিচে খালি ঠোঁঠের বিডড়বিড়, কী বলেছেন পার্থ? শোনা যায়নি। অর্পিতাকেও হুইলচেয়ারে করে বের করা হয়, তিনি বলেন ষড়যন্ত্রের কথা। কিন্তু কে করছে ষড়যন্ত্র? আর কোনও উত্তর দেননি অর্পিতা।
অর্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং পার্থ বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ৩ অগাস্ট ফের জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায় ইডি। এদিন তাঁদের আদালতে পেশ করার ছিল। কারণ আদালতের দেওয়া ইডি হেফাজত শেষ হয়েছিল এদিন। ফলে নিয়ম মাফিক আদালতে পেশ করার আগে পার্থ ও অর্পিতা-র মেডিক্যাল চেকআপ করানোটা ছিল জরুরি। কিন্তু, ইএসআই হাসপাতালে ঢোকা থেকে বের হওয়া পর্যন্ত সারারক্ষণই পার্থ ও অর্পিতাকে দুটি প্রশ্নই ধাওয়া করে যায়। এক নম্বর হল- টাকা কার এবং কে ষড়যন্ত্র করেছে। ইএসআই হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার পথে মুখ খোলেননি পার্থ। মুখে লাগানো মাস্কের নিচে খালি ঠোঁঠের বিডড়বিড়, কী বলেছেন পার্থ? শোনা যায়নি। অর্পিতাকেও হুইলচেয়ারে করে বের করা হয়, তিনি বলেন ষড়যন্ত্রের কথা। কিন্তু কে করছে ষড়যন্ত্র? আর কোনও উত্তর দেননি অর্পিতা। আদালত থেকে বের হওয়ার সময়ও প্রশ্নবান ধেয়ে গেল। ততক্ষণে পার্থ-অর্পিতার আরও সম্পত্তির তথ্য প্রকাশ্যে। আদালত কক্ষেই ইডি জানিয়েছিল অপা ইউলিটি নামে সংস্থার কথা। অপা ইউলিটির ৫০ শতাংশ করে মালিকারা পার্থ ও অর্পিতা, দাবি ইডি-র। অপা ইউলিটির নামে ৯টি ফ্ল্যাটেরও সন্ধান মিলেছে, আদালতে বলে ইডি। অর্পিতার ৩১টি জীবনিবিমার সন্ধান মিলেছে বলেও জানায় ইডি।
এই ৩১টি জীবনবিমার নমিনি আবার পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, দাবি করেছে ইডি। দুই পক্ষের আইনজীবীদের উত্তপ্ত সওয়াল জবাবা শোনেন বিচারক। এরপরে পার্থ-অর্পিতাকে ফের ৩ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ বিচারকের। বাইরে বের হতেই অর্পিতাকে কড়া পাহারায় গাড়িতে তোলা হয়। তখনও প্রশ্ন টাকা কার? বীমা কার? অপা ইউলিটি কার? কিন্তু উত্তর নেই অর্পিতার।