পল্লবীর পরিবারের দিকেও আঙুল তুলেছেন ঐন্দ্রিলা, 'এত সমস্যা থাকলে কেন এই সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী, কেনই বা তার নামে এতদিন তাঁরা অভিযোগ জানাননি? আমার সঙ্গে পল্লবীরই বন্ধুত্ব ছিল, সাগ্নিকের সঙ্গে বিশেষ কথা হতো না'
পল্লবী দে মৃত্যু রহস্যে বান্ধবী ঐন্দ্রিলার বিরুদ্ধেও অভিযোগ দায়ের করেছে পল্লবীর পরিবার। পল্লবীর পরিবারের অভিযোগ, অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনার সাগ্নিকের সঙ্গে ঐন্দ্রিলার সম্পর্ক ছিল, মাঝেমধ্যেই নাকি তাদের ফ্ল্যাটেও আসতেন ঐন্দ্রিলা। তবে ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, তিনি একবারই থেকেছেন গড়ফার ফ্ল্যাটে, তাও একটা বিয়েবাড়ি থেকে ফিরতে রাত হয়েছিল বলে, সেই রাতে ওদের ফ্ল্যাটে আরও দুই বন্ধুও ছিল, বিয়েবাড়ির পরের দিনই সাগ্নিকের রক্তবমি হচ্ছিল, তাই সেই কারণেই পল্লবী নিজেই সেদিন বলেছিলেন তাকে ফ্ল্যাটে থেকে যেতে। পল্লবীর পরিবারের দিকেও আঙুল তুলেছেন ঐন্দ্রিলা, 'এত সমস্যা থাকলে কেন এই সম্পর্কে ছিলেন পল্লবী, কেনই বা তার নামে এতদিন তাঁরা অভিযোগ জানাননি? আমার সঙ্গে পল্লবীরই বন্ধুত্ব ছিল, সাগ্নিকের সঙ্গে বিশেষ কথা হতো না'। পল্লবীর মৃত্যুর পর থেকেই কাঠগড়ায় তার প্রেমিক সাগ্নিক চক্রবর্তী, অভিনেত্রীর লিভ-ইন পার্টনারকেও রাখা হয়েছে পুলিশি হেফাজতে, সময় যত এগোচ্ছে ততই যে পল্লবীর মৃত্যু মামলা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে। ইতিমধ্যেই অভিনেত্রীর মৃত্যু রহস্য নাটকীয় মোড় নিয়েছে, যেভাবে সিলিং থেকে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে পল্লবী ততটা উচ্চতায় ওঠার মতো কোনও কিছুই ছিল না ঘরে। মৃত্যু রহস্য জট ক্রমশ জটিল হচ্ছে,পল্লবীর বাবা নীলু দের প্রথম থেকেই দাবি করেছেন, মেয়েক খুন করা হয়েছে, মেয়ে যে এভাবে আত্মহত্যা করতে পারে তা বিশ্বাস করতে পারছে না পরিবার। বাবা আরও বলেন, মেয়ে একটুতেই রেগে যেত কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যা তা কোনওমতেই সম্ভব নয়, তিনি বলেছেন, সাগ্নিক বিবাহিত, নিজের বউ থাকা সত্বেও সাগ্নিক পল্লবীর সঙ্গে লিভ-ইন করত, তা পুরোটাই জানত সাগ্নিকের পরিবার। সাগ্নিক নাকি রেগে গেলেই পল্লবীকে মারধর করত, এমনকী মেয়ের গায়ে মারধরের চিহ্নও দেখেছেন পরিবার ও সহকর্মীরা, নিত্য নৈমিত্তিক বিবাদ লেগেই থাকত তাদের মধ্যে, তবে শনি ও রবিবার কী এমন হয়েছিল যে মৃত্যুর পথ বাছতে হল পল্লবীকে তা এখনও ধোঁয়াশা।