দীর্ঘদিন ধরে মায়ের উপর আত্যাচারের অভিযোগ। অভিযোগ বৃদ্ধার ছেলে ও পুত্রবধূর বিরুদ্ধে। এমনকি বৃদ্ধাকে বাড়িছাড়া করারও অভিযোগ ওঠে। বাধ্য হয়েও বৃদ্ধা আশ্রয় নেন তাঁর মেয়ের বাড়িতে।
সুবিচার পেলেন বাঁকুড়ার বৃদ্ধা। আদালতের নির্দেশে ৮৬ বছরের নির্যাতিতা বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতে ফেরাল পুলিশ। ছোট ছেলে ও পুত্রবধুর অত্যাচার সয়ে মুখ বুজে ছিলেন বৃদ্ধা মা। কিন্তু বৃদ্ধার উপর অত্যাচারের সীমা ক্রমশ বাড়তে থাকে। একদিন ছোট ছেলে ও পুত্রবধু ঘাড় ধরে বের বৃদ্ধা মাকে বের করে দিয়েছিল রাস্তায় । আশ্রয় জুটেছিল মেয়ের বাড়িতে । তারপর দীর্ঘ লড়াই । শেষে হাইকোর্টের নির্দেশে নিজের বাড়িতে ফিরলেন বাঁকুড়ার পালিতবাগান এলাকার অশীতিপর বৃদ্ধা শেফালী দত্ত । সুবিচার পেয়ে খুশি ৮৬ বছরের শেফালী দত্ত। স্বামী গোপাল দত্তর ছিল গুড়ের ব্যবসা । ব্যাবসার আয়ে স্বামী বাঁকুড়া শহরের পালিতবাগানে কিনেছিলেন মস্ত বাড়ি । চার মেয়ে ও দু ছেলেকে একা হাতে কষ্ট করে লেখাপড়া শিখিয়ে বড় করেছিলেন স্ত্রী শেফালি দত্ত । তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল আগেই । অবিবাহিত এক মেয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন । ১৯৯৪ সালে স্বামীর মৃত্যু ঘটে । মেয়ে ও স্বামীকে হারিয়ে শোকে পাথর হয়ে যাওয়া শেফালি দেবী ভেবেছিলেন বাকি জীবনটা কোনোমতে কাটিয়ে দেবেন নিজের বাড়িতেই ছেলেদের কাছে । কিন্তু ২০০৫ সালে ছোট ছেলে প্রবীরের বিয়ের পর থেকে সংসারে নেমে আসে অশান্তি। শুরু হয় শেফালী দেবীর উপর ছোট ছেলে বৌমার অত্যাচারের অধ্যায়। বৃদ্ধার দাবি ছোট ছেলের বিয়ের পর থেকেই ছোট ছেলে প্রবীর ও পুত্রবধূ শম্পা তাঁর উপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার শুরু করে। বাঁকুড়া শহরের পালিতবাগানের বিশাল বাড়ি ও সম্পত্তি ছোট ছেলে ও পুত্রবধূর নামে লিখে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধার উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করতে থাকে ছোট ছেলে ও বৌমা। বৃদ্ধা রাজী না হওয়ায় বাড়তে থাকে বৃদ্ধার উপর অমানবিক অত্যচার বেড়ে যায়। শেষ পর্যন্ত চলতি বছর ১৯ জুলাই মারধর করে শেফালী দেবীকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় ছোট ছেলে ও পুত্রবধূ । নিরুপায় হয়ে অশীতিপর বৃদ্ধা আশ্রয় নেন আসানসোলে মেজো মেয়ে সুজাতা নাগ এর বাড়িতে । সেখান থাকা অবস্থাতেই নিজের বাড়ি ফিরতে ও সুবিচার পেতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বৃদ্ধা । চলতি মাসের ২৪ তারিখ হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা বাঁকুড়া সদর থানার আই সি কে নির্দেশ দেন প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকে নিজের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার । সেই নির্দেশ অনুযায়ী আজ বাঁকুড়া সদর থানার পুলিশ ওই বৃদ্ধাকে বাঁকুড়া শহরের পালিতবাগানে নিজের বাড়িতে পৌঁছে দেয় । দীর্ঘ চারমাস পর নিজের বাড়িতে ফিরতে পেরে স্বাভাবিক ভাবেই আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন বৃদ্ধা । বৃদ্ধাকে আশ্রয় ফিরিয়ে দিতে পেরে খুশি তাঁর আইনজীবীও। অভিযুক্ত ছেলে প্রবীর দত্ত ও পুত্রবধূ শম্পা দত্ত অবশ্য তাঁদের বিরুদ্ধে তোলা মা এর অভিযোগ সম্পূর্ণ উড়িয়ে দিয়েছেন ।
Oct 09 2024, 10:47 AM IST
Oct 03 2024, 12:10 PM IST
Oct 02 2024, 06:28 PM IST
Oct 01 2024, 12:13 AM IST
Sep 30 2024, 10:26 AM IST
Sep 29 2024, 12:20 PM IST
Sep 28 2024, 11:52 AM IST
Sep 25 2024, 10:35 AM IST
Oct 18 2023, 03:29 PM IST
Oct 15 2023, 05:24 PM IST
Jun 26 2023, 04:53 PM IST
Jun 22 2023, 11:13 PM IST
Jun 15 2023, 11:51 AM IST
Aug 01 2024, 10:39 AM IST
Jul 31 2024, 10:43 AM IST
Jul 30 2024, 10:34 AM IST
Jul 22 2024, 10:19 AM IST