মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হলো দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের, বালুরঘাটের ৪৫/সি মেহেতা রোডের বাসিন্দা পেশায় জুটমিল কর্মী সুভাষ মন্ডলের তিন সন্তান ও স্ত্রী সহ ছোট পরিবার।
মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে না দেওয়ায় অভিমানে আত্মঘাতী হলো দশম শ্রেণীর ছাত্রী। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ পৌরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের, বালুরঘাটের ৪৫/সি মেহেতা রোডের বাসিন্দা পেশায় জুটমিল কর্মী সুভাষ মন্ডলের তিন সন্তান ও স্ত্রী সহ ছোট পরিবার। স্ত্রী রানু মন্ডল একটি দোকানে কাজ করেন। ঘরেই থাকত তিন সন্তান। এতদিন অনলাইন ক্লাসের জন্য মোবাইল মেয়ের কাছে থাকলেও, ১৬ ই নভেম্বর থেকে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে স্কুলের পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় মা ফোনটি তার সঙ্গে দোকানে নিয়ে যেতেন। আর তাতেই বেজায় চটে যায় বজবজ ম্যানুয়াল গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী, সুভাষ বাবুর মেয়ে। বৃহস্পতিবার স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তাদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে বেরিয়ে যাবার পর আনুমানিক ৯টা ৩০ মিনিট নাগাদ সুভাষ বাবুর বড় ছেলে ঘরে ঢুকে তার বোনকে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে বাবাকে ফোন করে জানায়। পরে বজবজ পৌর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। বজবজ ফাঁড়ির পুলিশ গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। তার মৃত্যুতে শোকের ছায়া গোটা পরিবারে।