ডাকাতির লুটপাটের অর্থ দিয়েই শুরু মাজদিয়ার ডাকাতে কালীর পুজো। একসময় ডাকাতির টাকায় গভীর জঙ্গলে পুজো হত। সেই থেকেই ডাকাতে কালী হিসাবে পরিচিত এই পুজো। এখন ডাকাতে কালী প্রতিমার মূর্তি তৈরি করতে কেউ দেন বাঁশ, কেউ খড় আর কেউ দেয় মাটি, এভাবেই তৈরি হয় ডাকাত কালী মা। সারারাত চলে এখনকার পুজো, শেষ হয় ভোর রাতে। সেখানকার এক প্রবীণ বাসিন্দা গোষ্ঠ তরফদার জানিয়েছেন, ওই এলাকায় এক সময় ঘন জঙ্গল ছিল। সেই সময় ব্রিটিশদের অত্যাচারে গ্রামবাসীদের ঠিকঠাক খাবার জুটত না। আর ওই গ্রামের ডাকাতরা ডাকাতির অর্থ গরিব গ্রামবাসীদের মধ্যে বিলি করে দিত। গ্রামবাসীরা ওই ডাকাতদের ভগবানের মত দেখতেন। একদিন ওই ডাকাতরাই একটি বড় ডাকাতি করে। ডাকাতি করা সেই প্রচুর ধন দৌলত ওই জঙ্গলে রেখে দিত তারা এবং তাদের বিশ্বাস ছিল মা কালী রক্ষা রকবেন সব কিছুই। এর পর থেকে ওই ডাকাতরা জঙ্গলের মধ্যে পুজো শুরু করে। আর সেই থেকেই এই কালী ডাকাতে কালী নামে পরিচিত। সেখানকার গ্রামবাসীদের বিশ্বাস এই ডাকাতে কালী তাদের রক্ষাকর্তা। সেখানকারই এক বাসিন্দা সমীর দত্ত জানিয়েছেন, কোনও চাঁদা তোলা হয় না সেখানকার পুজোয়।