ক্ষমতার জন্য বঙ্গ কংগ্রেসের মাজা ভেঙে ছিলেন মমতা, মান বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পুরনো দলে ফেরার আহ্বান অধীরের

Published : Jan 15, 2021, 04:33 PM ISTUpdated : Jan 18, 2021, 11:08 AM IST
ক্ষমতার জন্য বঙ্গ কংগ্রেসের মাজা ভেঙে ছিলেন মমতা, মান বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীকে পুরনো দলে ফেরার আহ্বান অধীরের

সংক্ষিপ্ত

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসের ফেরার আহ্বান  আহ্বান জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী  কংগ্রেস ছাড়া বিকল্প নেই বলেও দাবি  তৃণমূল বাম কংগ্রেসকে এক   

ভারতীয় জনতা পার্টিকে থামাতে মূল বিকল্প কংগ্রেস। একশো বছরেরও বেশি সময় ধরে ধর্মনিরক্ষতা অক্ষুন্ন রেখেছে এই দলটি।  আর সেই কারণেই বিজেপিকে রুখতে  তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেসে ফেরার আর্জি জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তিনি আরও বলেছেন একটা সময় যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা বর্তমানে বুঝতে পারছেন কংগ্রেস ছাড়া তাঁদের আর কোনও গতি নেই। তিনি আরও বলেন একটা সময় যাঁরা দল ছেড়েছিলেন তাঁরা কংগ্রেসকে শেষ করারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু কংগ্রেস এখনও রয়েছে। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাম দলগুলির সঙ্গে হাত মিলিয়ে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। দিন কয়েক আগেই তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সৌগত রায় বলেছিলেন বিজেপিকে পরাস্ত করতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত শক্তি করার  আহ্বান জানিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মনে শুক্রবার সেই প্রশ্নেরই উত্তর দিলেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কংগ্রেস ফেরার আর্জি জানানোর পাশাপাশি তৃণমূলের হাত শক্ত করার প্রস্তাবও খারিজ করে দিলেন বলেও মনে করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। 


১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে এসে তৈরি করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস। তারপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে গেছে। ৩৪ বছরের বাম জমানার অবসান ঘটিয়ে পরপর দুটি বিধানসভা নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন বাংলার মসনদে রয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পশ্চিমবঙ্গ দখলের আগে থেকেই কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছিল। তারপর দীর্ঘ দিন ধরে তা অব্যাহত ছিল। ক্ষমতা দখলের পর বাম শিবিরেও শুরু হয়েছিল রক্তক্ষরণ। বর্তমানে তা অব্যাহত রয়েছে। বাম কংগ্রেস নেতারা একের পর দল ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন ঘাসফুল পতাকা। দলবদলের রাজনীতিতে তৃণমূলের দিকেই পাল্লা ভারি হতে দেখেছিল রাজ্যবাসী। আর তৃণমূলের সেই দাপটে অনেকটাই কাছাকাছি এসেছে একটা সময় রাজ্যের যুযুধান দুই রাজনৈতিক দল কংগ্রেস ও সিপিএম। আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে  লড়াই করবে বলেও ঘোষণা করেছে। ইতিমধ্যে সেইমত রাজনৈতিক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছে তারা। আসন ভাগাভাগি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে।  

'আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা নেওয়ার মত ভুল যেন কেউ না করে', সেনা দিবসে চিনকে হুঁশিয়ারি ভারতীয় সেনা প্রধানের...

IMF সমর্থন জানাল মোদীর নতুন তিনটি কৃষি আইনকে, 'কাঁটা' হয়ে থাকল একটি মন্তব্য ..

কিন্তু গত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই দলবদলের অন্য রাজনীতি দেখতে শুরু করেছে এই রাজ্যে। একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেস নেতা, কর্মী, সাংসদ, বিধায়ক নাম লেখাচ্ছেন পদ্মশিবিরে। বর্তমান পরিস্থিতিতে  ঘাসফুলে রক্তক্ষরণ শুরু হয়েছে বলা যেতে পারে। দলের প্রথম সারির নেতারা একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসকে ছেড়ে নাম লেখাচ্ছে পদ্মশিবিরে। ভোটের আগে সংখ্যাটা আরও বাড়বে বলেও দাবি করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এই অবস্থায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস বাম কংগ্রেসকে যেমন আহ্বান জানিয়েছে তেমনই কংগ্রেসও এদিন আহ্বান জানিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। রাজনীতিতে সব কিছুই সম্ভব বলে একটা প্রবাদ আছে। একটা সময় কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়ে আলাদা দল তৈরি করেছিলেন  প্রয়াত রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্য, প্রিয়রঞ্জ দাসমুন্সী। পরে তাঁরা আবার কংগ্রেসে ফিরে যান। মন্ত্রীও হয়েছিলেন। তালিকায় রয়েছেন পি চিদম্বরম। পরে প্রত্যাবর্তন করেন কংগ্রেসে। অন্যদিকে শরদ পাওয়ার কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে আলাদা দল তৈরি করলেও মহারাষ্ট্র নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েই ভোট যুদ্ধে বিজেপির বিরুদ্ধে সাফল্য পেয়েছিল। তাই এখন দেখার এই রাজ্যের জন্য আগামী দিনে কী অপেক্ষা করছে। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

Samik Bhattacharya: ‘SIR বন্ধ করে দিন তবুও ২০২৬-এ তৃণমূল হারবে!’ চ্যালেঞ্জ শমীকের
এই বাংলাতেই কেন বাবরি মসজিদ? তৃণমূলের গভীর 'গেম প্ল্যান'? কী বললেন শুভেন্দু, অধীর, সুজন, শুভঙ্কর?