বাংলার ভোট যুদ্ধে ভারতীয় জনতা পার্টি শুধুমাত্র তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই লড়াই করছে না। তৃণমূল কংগ্রেস তাদের মূল প্রতিপক্ষ হলেও বিজেপি লড়াই করছে একই সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে নিজেদের আদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে। ও ভদ্রলোকদের কাছে পৌঁছে যেতে। যা এখনও মূলত বামদলগুলির দখলে রয়েছে বলেও মনে করে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপির হয়ে প্রচার করার জন্য এই রাজ্যে প্রায়ই আসেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। ইতিমধ্যেই তিনি রাজ্যের ৬০ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের সঙ্গে কথা আলোচনা করেছেন। 'সোনার বাংলা' যা ২০২১ সালের বঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রধান স্লোগান, তা নিয়েই সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতামত জানতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁদের আদর্শ নিয়েও আলোচনা করেছেন তিনি। তিনি তাঁদের সোনার বাংলা নিয়ে বিজেপির যে পরিকল্পনা রয়েছে তানিয়ে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। তিনি বলেছেন বিজেপি চাইছে বাংলা তার হৃত গৌরব ফিরে পাক। অর্থনৈতিক ও বৌদ্ধিক গৌরব আবারও ফিরে আসুক।
ধর্মেন্দ্র প্রধানের কথায় সোনার বাংলা স্লোগান শুধুনাত্র পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলিতে দিদি ও ভাইপোকে সরিয়ে দিয়ে নতুন শাসন ব্যবস্থা আনার জন্যই চালু করা হয়নি। এটির উদ্দেশ্য তার থেকে আরও অনেক বড়। সোনার বাংলা স্লোগানের মূল লক্ষ্যই হল বাংলা সংস্কৃতির পুনরায় প্রতিষ্ঠা পাক। তিনি বলেন একটা সময় বাংলা ছিল সমুদ্র অর্থনীতিক কেন্দ্রবিন্দু। সেই বাংলাকে আবারই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত ও পুণরুজ্জীবিত করা প্রয়োজন। তিনি বলেছিলেন যে বিশ্বের জনসংখ্যার আট থেকে নয় শতাংশ ভরত ও বাংলায় বাস করে। এটি দক্ষিণ ও পূর্ব এশিয়ার দেশগুলিতে পৌঁছে যাওয়ার একটি বড় কেন্দ্রে পরিণত হতে পারে।
তাঁর কথায় বিশ্বের মোট জনসংখ্যার আট থেকে নয় শতাংষ মানুষ এখানে বাস করে। যা বাংলাদেশ ও ময়ানমারে বসবাসকারী ২০ কোটি মানুষকে প্রভাবিত করতে পারে। কলকাতা বিশ্বের প্রায় ১০-১২ শতাংশ লোকের কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। তাঁর প্রশ্ন কেন বাংলা অর্থনৈতিক সহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হবে না? তিনি আরও বলেন উত্তর প্রদেশের গোরক্ষপুর থেকে গঙ্গাসাগর ও পূর্ব ব্রহ্মপুত্র পর্যন্ত বিস্তীর্ণ। এই এলাকায় প্রায় ৫০ কোটি মানুষের বাস। তারা খুব সহজেই বাংলাদেশ মায়ানমার ইন্দোনেশিয়ার মানুষদের প্রভাবিত করতে পারে। তাঁর কথায় সোনার বাংলা তৈরি করার জন্য প্রথমে একটি কাজের পরিবেশ তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি। ধর্মেন্দ্র প্রধানের কথায় ৭০-৮০র দশক থেকেই এই রাজ্য পিছিয়ে পড়তে শুরু করেছে। আইনের শাসন মেনে চলা হয়নি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠাকেই আগ্রাধিকার দেওয়া, কর্ম সংস্কৃতী প্রতিষ্ঠা করাই তাঁদের মূল লক্ষ্য। তাঁরস সঙ্গে যে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা কথা বলেছিলেন তাঁরা হলেন, মিডিক্যাল চেয়ারম্যান অলোক রায়, হিতেন্দ্র কুমার, এক্সাইড ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর, অধরলাল চাঁদ, অবসরপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল, কর্নেল দীপক গুপ্ত, অধ্যাপত সুমন মুখোপাধ্য়ায়. ইন্ডিয়া পাওয়ার কর্পোরেশনে পরিচালক সোমেশ দাশগুপ্ত।