এমএলএ ঠাকুর্দার নেত্রী নাতনি, বালির সিপিএম প্রার্থী দীপ্সিতা ধর উজ্জ্বল বাম ঝাঁকের অন্যতম মুখ

  • বালির সিপিএম প্রার্থী  দীপ্সিতা ধর
  • জেএনইউ-র প্রাক্তনী 
  • একাধিকবার পুলিশি হামলার শিকার 
  • ২০১৮ থেকে এসএফআই-এর সদস্য 

Asianet News Bangla | Published : Apr 9, 2021 1:15 PM IST / Updated: Apr 09 2021, 06:57 PM IST

তাপস দাস, প্রতিনিধি, বাম রাজনীতিতে তরুণ ও উজ্জ্বল মুখ বলতে যাঁদের কথা সর্বপ্রথমে আসে, তাঁদের অন্যতম দীপ্সিতা ধর। দীপ্সিতা বাংলার রাজনীতিতে ছিলেনই, পরবর্তীকালে তিনি জাতীয় রাজনীতিতেও মুখ হয়ে উঠেছেন, জেএনইউয়ে পড়াশোনা ও সেখানকার রাজনীতিতে যুক্ত থাকার সুবাদে। 

আশুতোষ কলেজে পড়বার সময়েই তিনি এসএফআইয়ের সদস্য হন। বাম রাজনীতিই তাঁর স্বাভাবিক পথ ছিল, তাঁর ঠাকুর্দা পদ্মনিধি ধর ছিলেন ডোমজুড়ের তিনবারের সিপিএম বিধায়ক। ২০১৮ সালে এসএফআইয়ের জাতীয় সম্মেলনে দীপ্সিতা সংগঠনের সর্বভারতীয় যুগ্ম সভাপতি পদে নির্বাচিত হন। 

স্বাস্থ্য সাথী কার্ড ঝুলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বাংলার মানুষের ভোট কিনছেন, দাবি বিজেপির

দীপ্সিতা একাধিকবার পুলিশি হামলার শিকার হয়েছেন। রোহিত ভেমুলার মৃত্যুর পর বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময়ে, এবং তা ছাড়া অন্য সময়েও। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের সময়ে তিনি ছিলেন সক্রিয়। সিপিএমের মধ্যে পরিচয়ের রাজনীতি সম্পর্কে যে দীর্ঘ দুর্বলতা বিদ্যমান ছিল, সে ফাঁক ঘুচছে যে নয়া প্রজন্মের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে, দীপ্সিতা সেই প্রতিনিধিদের অগ্রণী। লিঙ্গরাজনীতির প্রশ্নে, পিতৃতন্ত্রের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চকিত। এবারের ভোট প্রচারের সময়ে তিনি সমর্থনের হাত বাড়িয়েছেন এলজিবিটিকিউ প্লাস কমিউনিটির দিকে। জাতিপ্রথার বিরুদ্ধেও তিনি সরব থেকেছেন। আইআইটিতে অনগ্রসর ছাত্রছাত্রীদের কম প্রতিনিধিত্ব নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের কাছে এসএফআইয়ের ডেপুটেশনে তিনি শামিল ছিলেন। 

ভোট সন্ত্রাসে উত্তপ্ত বীরভূম, বোমা বাঁধতে গিয়ে উড়ে গেল হাত ...

পিতামহীর ডোমজুড় নয়, তিনি এবার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন হাওড়ারই বালি কেন্দ্র থেকে। তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী তৃণমূল কংগ্রেসের রাণা চ্যাটার্জি এবং দল বদল করে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যাওয়া বৈশালী ডালমিয়া। 

টালিগঞ্জ থেকে সিঙ্গুর, 'সেয়ানে সেয়ানে' লড়াই হবে যেসব বিধানসভা কেন্দ্রে ...

২৮ বছরের দীপ্সিতা ধর বলছেন, খিদের কোনও ধর্ম নেই। তাঁর প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন সিনেমা অভিনেতা রাহুল অরুণোদয় ব্যানার্জি এবং চিকিৎসক কাফিল খান। 

পেশায় ছাত্রী বলেই নিজের হলফনামায় উল্লেখ করেছেন ২৮ বছরের দীপ্সিতা। জানিয়েছেন, তাঁর কাছে নগদ ১০০০ টাকা রয়েছে, বাবার সঙ্গে একটি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট রয়েছে যাতে তাঁর ভাগে রয়েছে ৮ হাজার টাকার মত। বালির একটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে রয়েছে ১৫ হাজার টাকা। তবে জেএনইউয়ের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা রয়েছে তাঁর নামে। সব মিলিয়ে তিন লক্ষ টাকারও কম সম্পত্তি রয়েছে তাঁর, যার মধ্যে স্থাবর সম্পত্তি নেইই। এমনকি কোনও সোনাদানা বা গাড়িও নেই তাঁর। 

 

১০ এপ্রিল, চতুর্থ দফায় স্থির হবে দীপ্সিতার সংসদীয় রাজনীতির আশু ভবিষ্যৎ। 
 

Share this article
click me!